পুলিশের হাতে দেহব্যবসায়ী তিন নারী একজন পুরুষকে আটক করলেও নাটের গুরু দেহব্যবসার ডিলার বুড়ি হালিমা ধরাছোঁয়ার বাইরে ।
ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী বাজার সংলগ্ন গতকাল মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর বিকাল তিন ঘটিকার সময় রৌমারী থানাঃ পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
কর্তিমারী উত্তর বাজার ইউপি পরিষদ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে সোনালী ব্যাংক লাগুয়া পিছন পাশেই দেহব্যবসার ডিলার হালিমা বুড়ি নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন যাবৎ এই বুড়ির বাড়িতে এসব অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বেই কয়েকবার জেলহাজতে গেলেও এসব আইনে তার ব্যবসার কোন ব্যাঘাত হয়নি বলেও জানা গেছে।
এলাকা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় এই বুড়ি হালিমা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসামাজিক কাজের দেহব্যবসায়ী নারীদের সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিস হোল্ডার হিসাবে সার্ভিস দিয়ে থাকে।
এই নোংরামির ঘটনাটি জেলা উপজেলা প্রশাসনিকভাবে অবগত থাকলেও আইনীভাবে কিন্তু কঠিন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এসব হরহামেশাই চলছে । দীর্ঘদিন যাবৎ এই নোংরা ব্যবসার পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা করে আসছিল।
ইদানিং রৌমারী থানার নবাগত ইনচার্জ মামুনুর রশীদ জয়েন্ট পর তৎপর হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁরই ধারাবাহিকতার প্রতিফলন জনগণের চোখে পরল। মামুনুর রশিদ দেহব্যবসায়ী আটকের বিষয় তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি নিজে সদস্যদের সাথে নিয়ে এই হালিমা বুড়ির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে দেহব্যবসায়ী ০৩ নারী ০১ পুরুষকে হাতেনাতে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাদের অসামাজিক কাজের দায়ে কুড়িগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ রৌমারী উপজেলায় এধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড যাতে না হয় সেদিকে আমরা সবসময়ই সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
এনিয়ে রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী এলাকাবাসী সুস্থতার নিঃশ্বাস ফেলছেন বলে জানিয়েছেন তারা। তবে এমন অপ্রীতিকর নোংরামি প্রতিরোধে নবাগত ওসির আরও সহযোগিতা কামনা করছেন বিপদগ্রস্ত এলাকাবাসীরা।
আটককৃত তিন নারীর ঠিকানা জানা গেল রাজশাহী, বগুড়া, মময়নসিংহ সহ তিন জেলার তীন নারী। রৌমারী উপজেলার খুরচা দেহব্যবসায়ী আব্দুল বারেক নামের বাড়ি বন্দবেড় ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এমন নোংরা প্রথা রয়েছে এদেরকেও খোজে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহলগন।