Dhaka ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনী বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অনীহা

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গাংনী বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি আজোও। এদিকে সড়ক ও জনপথের প্রচুর যায়গা ফেলে রেখে জেলা পরিষদের যায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সড়ক বিভাগ। এনিয়ে শুরু হয়েছে আইনী জটিলতা। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপসহকারি প্রকৌশলীর কোটি টাকার বাণিজ্যর কারণে জেলা পরিষদের যায়গা দখলে নিতেই গাংনী বাজারের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৬ শ কোটি টাকা ব্যায়ে ফোরলেনসহ নির্মাণ কাজ চলছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এই সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসস্থল উচ্ছেদ করলেও অজ্ঞাত কারণে গাংনী পৌর শহরে অবস্থিত সওজের নিজস্ব যায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। গাংনী উপজেলার কাথুলি মোড় এলাকা থেকে রাজা ক্লিনিক পর্যন্ত মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয় পার্শ্বের জায়গা দখল করে অর্ধশতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব দোকান ঘর তৈরী করেন। মোটা অঙ্কের টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকানঘরগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে। সওজের যায়গার উপর মার্কেট বানিয়ে প্রভাবশালী মহল প্রতিমাসে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, শুরুতে এসব দোকানপাট টিনশেড দিয়ে তৈরী করলেও পর্যায়ক্রমে সেখানে দোতালা তিন তলা ও চারতলা পর্যন্ত ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরেও এই অঞ্চলিক মহাসড়কটির আশপাশে শতাধিক দোকানঘর তৈরী হয়েছে সওজের জমিতে। অথচ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। বার বার গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও তারা অজ্ঞাত কারনে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান থেমে গেছে।

সর্বশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে ৪ মার্চ সওজ খুলনা জোনের এস্টেট কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায় এসব শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবর, ঈদগাহ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে গাংনী উপজেলা শহরে রয়ে গেছে প্রভাবশালীদের বড় বড় শপিং মলসহ মার্কেট। উদ্ধার হয়নি সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ।

অভিযোগ উঠেছে, সওজের স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান ও উপসহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের কয়েক কোটি টাকা ঘুঁষ বাণিজ্যের কারণে এগুলো উচ্ছেদ করার কোনো তথ্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনেননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাথুলি মোড় থেকে গাংনী রাজা ক্লিনিকের সামনে কুষ্টিয়ার দিকের রাস্তার উভয় পাশে সওজের অন্তত শতাধিক দোকান ও মার্কেট গড়ে উঠেছে। এখানে খাবারের কয়েকটি হোটেলও আছে। দোকানগুলোর বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতে ‘নিষেধ’ করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানান, পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন তিনি। এখানে প্রতিটি দোকানের ভাড়া ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি দোকান বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একের পর এক অবৈধ দখলের কারণে বাজারজুড়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। এসব কারণে গাংনী বাজার এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, ১৯৬৪ সালের ৩ আগষ্ট থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাংনী উপজেলা শহরে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সরকার) জমি অধিগ্রহণ করে। ২২১৭ সিএস/ এসএ দাগে শফি মন্ডল, শুকুর মোহাম্মদ ও নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ১৮৮৪ রুপি ৮ শতক, সিএস ২২০৮ দাগে পাতানের কাছ ৬ শতক জমি ১২৪ রুপিতে, ২২০৬ নং দাগে তাশের আলী, তাঁরা চাঁদ মন্ডল, ফাঁকের চাঁদ মন্ডল ও ছেতাব আলী মন্ডলের কাছ থেকে ৭ শতক জমি ১৩৫ রুপি, ২১৪১ দাগে ১২ শতক ও ২১৪২ দাগে ৪ শতক জমি সদর শাহ ও নিলু শাহর কাছ থেকে ৫৯৪ রুপি, শামসুদ্দিন আহমেদ, একেএম সিদ্দিক হাসান সরোয়ারের কাছ থেকে ২১৪৩ দাগে ১৬ শতক, ২১৪৪ দাগে ৬ শতক, ২১৪৬ দাগে ৪ শতক, ২১৪৮ দাগে ৫ শতক, ২১৪২ দাগে ৩ শতক জমি ৪৯৫০ রুপিতে, দাগ নং ২১৪৩ এ ৫ শতক, ২১৫০ দাগে ৩ শতক, ২১৫০ এসএ রেকর্ড ১৬ শতক জমি সবদেল মন্ডলের কাছ থেকে ৫০৬ রুপি, দাগ নং ২১৫৫ এ ৭ শতক জমি ইকরাম হোসেনের কাছ থেকে এসএ রেকর্ড ২১৫৬ এ ১৪ শতক  জমি শহিদের কাছ থেকে ১০৪৭ রুপিতে, ২১৫৭ দাগে দোয়াত আলীর কাছ থেকে ১৩ শতক জমি ১০৪৭.৮৪ রুপিতে, ২০৯৫ দাগে ৫ শতক জমি ইউনুস আলী, ইদ্রিস আলী ও রাজ্জাক আলীর কাছ থেকে ৩৩৩ রুপিতে ও দাগ নং ২০৯৪ এ ১ শতক জমি জহির উদ্দিনের কাছ থেকে ৩৫ রুপিতে অধিগ্রহণ করে সরকার।

বর্তমান ট্রাফিক আইল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমে সড়কের জায়গাতে বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ি ও মার্কেটের পেছনেও রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি। এখান থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি। তবে একজনের সাথে আদালতের মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সওজ মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী বাজার ও আশপাশের অংশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সবই অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিতে। এর আগেও একাধিকবার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে ওইখানে ফোরলেন রাস্তার কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব সব সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে অর্থ বাণিজ্যের বিষয়টি অীস্বীকার করেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, ফোর লেন বাস্তবায়নে স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। ওই টিম একটি প্রতিবেদন দিবেন। তাছাড়া সওজ তাদের জায়গা উচ্ছেদ করবে বলেও জেনেছেন তিনি। কবে নাগাদ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে সেটা বলতে পারেন নি তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গাংনী বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অনীহা

Update Time : ০৪:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গাংনী বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি আজোও। এদিকে সড়ক ও জনপথের প্রচুর যায়গা ফেলে রেখে জেলা পরিষদের যায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সড়ক বিভাগ। এনিয়ে শুরু হয়েছে আইনী জটিলতা। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপসহকারি প্রকৌশলীর কোটি টাকার বাণিজ্যর কারণে জেলা পরিষদের যায়গা দখলে নিতেই গাংনী বাজারের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৬ শ কোটি টাকা ব্যায়ে ফোরলেনসহ নির্মাণ কাজ চলছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এই সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসস্থল উচ্ছেদ করলেও অজ্ঞাত কারণে গাংনী পৌর শহরে অবস্থিত সওজের নিজস্ব যায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। গাংনী উপজেলার কাথুলি মোড় এলাকা থেকে রাজা ক্লিনিক পর্যন্ত মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয় পার্শ্বের জায়গা দখল করে অর্ধশতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব দোকান ঘর তৈরী করেন। মোটা অঙ্কের টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকানঘরগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে। সওজের যায়গার উপর মার্কেট বানিয়ে প্রভাবশালী মহল প্রতিমাসে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, শুরুতে এসব দোকানপাট টিনশেড দিয়ে তৈরী করলেও পর্যায়ক্রমে সেখানে দোতালা তিন তলা ও চারতলা পর্যন্ত ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরেও এই অঞ্চলিক মহাসড়কটির আশপাশে শতাধিক দোকানঘর তৈরী হয়েছে সওজের জমিতে। অথচ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। বার বার গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও তারা অজ্ঞাত কারনে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান থেমে গেছে।

সর্বশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে ৪ মার্চ সওজ খুলনা জোনের এস্টেট কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায় এসব শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবর, ঈদগাহ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে গাংনী উপজেলা শহরে রয়ে গেছে প্রভাবশালীদের বড় বড় শপিং মলসহ মার্কেট। উদ্ধার হয়নি সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ।

অভিযোগ উঠেছে, সওজের স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান ও উপসহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের কয়েক কোটি টাকা ঘুঁষ বাণিজ্যের কারণে এগুলো উচ্ছেদ করার কোনো তথ্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনেননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাথুলি মোড় থেকে গাংনী রাজা ক্লিনিকের সামনে কুষ্টিয়ার দিকের রাস্তার উভয় পাশে সওজের অন্তত শতাধিক দোকান ও মার্কেট গড়ে উঠেছে। এখানে খাবারের কয়েকটি হোটেলও আছে। দোকানগুলোর বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতে ‘নিষেধ’ করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানান, পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন তিনি। এখানে প্রতিটি দোকানের ভাড়া ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি দোকান বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একের পর এক অবৈধ দখলের কারণে বাজারজুড়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। এসব কারণে গাংনী বাজার এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, ১৯৬৪ সালের ৩ আগষ্ট থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাংনী উপজেলা শহরে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সরকার) জমি অধিগ্রহণ করে। ২২১৭ সিএস/ এসএ দাগে শফি মন্ডল, শুকুর মোহাম্মদ ও নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ১৮৮৪ রুপি ৮ শতক, সিএস ২২০৮ দাগে পাতানের কাছ ৬ শতক জমি ১২৪ রুপিতে, ২২০৬ নং দাগে তাশের আলী, তাঁরা চাঁদ মন্ডল, ফাঁকের চাঁদ মন্ডল ও ছেতাব আলী মন্ডলের কাছ থেকে ৭ শতক জমি ১৩৫ রুপি, ২১৪১ দাগে ১২ শতক ও ২১৪২ দাগে ৪ শতক জমি সদর শাহ ও নিলু শাহর কাছ থেকে ৫৯৪ রুপি, শামসুদ্দিন আহমেদ, একেএম সিদ্দিক হাসান সরোয়ারের কাছ থেকে ২১৪৩ দাগে ১৬ শতক, ২১৪৪ দাগে ৬ শতক, ২১৪৬ দাগে ৪ শতক, ২১৪৮ দাগে ৫ শতক, ২১৪২ দাগে ৩ শতক জমি ৪৯৫০ রুপিতে, দাগ নং ২১৪৩ এ ৫ শতক, ২১৫০ দাগে ৩ শতক, ২১৫০ এসএ রেকর্ড ১৬ শতক জমি সবদেল মন্ডলের কাছ থেকে ৫০৬ রুপি, দাগ নং ২১৫৫ এ ৭ শতক জমি ইকরাম হোসেনের কাছ থেকে এসএ রেকর্ড ২১৫৬ এ ১৪ শতক  জমি শহিদের কাছ থেকে ১০৪৭ রুপিতে, ২১৫৭ দাগে দোয়াত আলীর কাছ থেকে ১৩ শতক জমি ১০৪৭.৮৪ রুপিতে, ২০৯৫ দাগে ৫ শতক জমি ইউনুস আলী, ইদ্রিস আলী ও রাজ্জাক আলীর কাছ থেকে ৩৩৩ রুপিতে ও দাগ নং ২০৯৪ এ ১ শতক জমি জহির উদ্দিনের কাছ থেকে ৩৫ রুপিতে অধিগ্রহণ করে সরকার।

বর্তমান ট্রাফিক আইল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমে সড়কের জায়গাতে বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ি ও মার্কেটের পেছনেও রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি। এখান থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি। তবে একজনের সাথে আদালতের মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সওজ মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী বাজার ও আশপাশের অংশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সবই অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিতে। এর আগেও একাধিকবার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে ওইখানে ফোরলেন রাস্তার কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব সব সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে অর্থ বাণিজ্যের বিষয়টি অীস্বীকার করেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, ফোর লেন বাস্তবায়নে স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। ওই টিম একটি প্রতিবেদন দিবেন। তাছাড়া সওজ তাদের জায়গা উচ্ছেদ করবে বলেও জেনেছেন তিনি। কবে নাগাদ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে সেটা বলতে পারেন নি তিনি।