যশোরের বাঘারপাড়ায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে বাধন বিশ্বাস নামে এক
তরুণের বিরুদ্ধে। তাকে আটকে করতে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ২৪ ঘন্টার
আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক যুবক। তবে
এখনো কটূক্তিকারী ওই তরুণকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। বাধন বিশ্বাস (১৯)
উপজেলার সাদীপুর গ্রামের বিধান বিশ্বাসের ছেলে। সে খাজুরা সরকারি শহীদ
সিরাজুদ্দিন হোসেন কলেজ থেকে এবারের এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ‘বিষাক্ত ছেলে’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে
মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে একটি পোস্টে কমেন্ট করেন ওই তরুণ।
রোববার বিকেলে সেই কমেন্টের স্ক্রিনশর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে
পড়ে। এতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে ওই
তরুণের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে
পুলিশ গিয়ে আইনের মাধ্যমে পলাতক ওই তরুণের বিচারের আশ্বাস দেন। এ সময়
উত্তেজিত ছাত্র-জনতা বাধনকে আটক করতে পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে
বাধনের বাড়ি ছাড়েন।
এ ঘটনায় রোববার রাতেই উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আজিজুর রহমানে ছেলে
আব্দুর রহমান (২৩) বাদী হয়ে কটূক্তিকারী ওই তরুণের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত
অভিযোগ করেছেন। আব্দুর রহমান জানান, মহানবীকে কটূক্তি কোনোভাবেই মেনে
নেওয়া যাবে না। মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওই কটূক্তিকারীকে আটক
ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সোমবার সকাল নয়টায় সাদীপুরের ইউপি সদস্য সুকেশ পোদ্দার মুঠোফোনে বলেন,
অভিযুক্ত বাধন পলাতক রয়েছে। আমি তাকে ভালোভাবে চিনি না। বাড়িতেও খুব একটা
থাকে না সে। তার বাবা সাদীপুরের ঘরজামাই। এ ঘটনায় ওই ছেলের কঠোর শাস্তির
দাবিতে একাট্টা হয়েছে হিন্দু অধ্যুষিত সাদীপুর গ্রামের লোকজনও। রাতে দফায়
দফায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা
এসেছিলেন। ওই ছেলেকে খুঁজে বের করতে আমরা গোটা গ্রামবাসীও সহযোগিতা করছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘারপাড়া থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
আব্দুল আলিম জানান, রোববার রাতে অভিযুক্ত তরুণের বাড়ি থেকে উত্তেজিত
জনতাকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় এক যুবক অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত বাধন পলাতক থাকায় এখনো তাকে আটক করা যায়নি। রাতভর অভিযান চলেছে।
পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।