Dhaka ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে আওয়ামী নেতা কর্মীর দখলে সরকারি ও মসজিদে দান করা জমি, নির্মাণ হচ্ছে ভবন

?????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

সৈয়দপুরে আওয়ামী নেতা কর্মীর অবৈধ ভাবে দখলে নেয়া সরকারি ও মসজিদে দান জমিতে নির্মাণ হচ্ছে ভবন ও বহুতল ভবন। আর এ-সব জমি বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এনিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এস দেখা দরকার বলে মন্তব্য স্হানীয়দের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর ঢেলাপীর বাজার সংলগ্ন অসংখ্য সরকারি জমি রয়েছে। ওই জমি আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য নেতা কর্মী অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে নির্মান করেছেন ঘরবাড়ি। ওই সময় সরকারি কোন কর্মকর্তাই চাকরি বাঁচানোর জন্য কোন ব্যবস্হাই নিতে পারেন নাই। এই সুযোগে ৩ আগষ্ট উত্তরবংগের শ্রেষ্ঠ জুয়ারি বাদশা নামের এক ব্যাক্তিও প্রায় ১০ শতক জমি দখলে নিয়ে গোস্তোর দোকান দেয়। এরপর সেখানে শুরু করেন জুয়ার আখরা। অপর দিকে কামারপুকুর ইউনিয়নের বাগডোকরা জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য অনেক দানবীর জমি দান করেন। দান করা জমির শহরের জসিম বাজার এলাকায় রয়েছে প্রায় ৯০ শতক জমি। আইন রয়েছে ওইসব জমি দেখাশোনা করবেন মসজিদ কমিটির সভাপতি। সে মোতাবেক ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করতেন। কিন্তু এরপর থেকে মসজিদ কমিটিতে থাকা সভাপতি আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী হওয়ায় আইনের তোয়াক্কা না করে সম্প্রতি প্লট আকারে পজেশন বিক্রি শুরু করেন। যার ফলে ক্রেতারাও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হওয়ায় ওই জমিতে ভবনও বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।কার কাছে মসজিদের জমি কিনেছেন জানতে চাইলে ক্রেতারা বলেন আমরা যার কাছে জমি ক্রয় করেছি তাদের নাম স্বরন নেই। তবে এই জমি বাগডোগরা জামে মসজিদের সভাপতি আওয়ামী নেতা মতি জোয়দ্দার পজেশন বিক্রি করেছেন।

কিভাবে এই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, কামার পুকুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,আওয়ামী নেতা আনোয়ার হোসেন সরকার এর কাছে নকশা অনুমোদন নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি ।

মসজিদের জমির ক্রেতা, বিক্রেতা ও নকশা অনুমোদনকারী আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী হওয়ায় ইতিমধ্যে ৪/৫ টি বহুতল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ওই জমিতে। বহুতর ভবন নির্মাণ কাজ রয়েছে আরো প্রায় ৩ টির। নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমি হস্তান্তর, নকশা অনুমোদন ও বহুতল ভবন নির্মাণের মত বেআইনী কাজ অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ ওয়াক্ফ বোর্ড কর্তৃপক্ষ তেমন কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না।

জানতে চাইলে আওয়ামী নেতা মতি জোয়ার্রদার বলেন, মসজিদের কোন জমিই বিক্রি করা হয় নি। তাদের ভাড়ায় থাকতে দেয়া হয়েছে। মসজিদের প্রয়োজনে সেগুলো যখনতখন উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান তিনি।

মসজিদে দান করা জমিতে অবৈধভাবে নকশা অনুমোদন দেওয়ায়  সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে মোজহারুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ও কোন ব্যাবস্হা নিচ্ছেন না। এরফলে দাপটের সাথেই দখলকারীরা ওইসব জমিতে ভবন ও বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন,উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়াকফ জমিতে নকশা অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সৈয়দপুরে আওয়ামী নেতা কর্মীর দখলে সরকারি ও মসজিদে দান করা জমি, নির্মাণ হচ্ছে ভবন

Update Time : ০৪:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

সৈয়দপুরে আওয়ামী নেতা কর্মীর অবৈধ ভাবে দখলে নেয়া সরকারি ও মসজিদে দান জমিতে নির্মাণ হচ্ছে ভবন ও বহুতল ভবন। আর এ-সব জমি বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এনিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এস দেখা দরকার বলে মন্তব্য স্হানীয়দের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর ঢেলাপীর বাজার সংলগ্ন অসংখ্য সরকারি জমি রয়েছে। ওই জমি আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য নেতা কর্মী অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে নির্মান করেছেন ঘরবাড়ি। ওই সময় সরকারি কোন কর্মকর্তাই চাকরি বাঁচানোর জন্য কোন ব্যবস্হাই নিতে পারেন নাই। এই সুযোগে ৩ আগষ্ট উত্তরবংগের শ্রেষ্ঠ জুয়ারি বাদশা নামের এক ব্যাক্তিও প্রায় ১০ শতক জমি দখলে নিয়ে গোস্তোর দোকান দেয়। এরপর সেখানে শুরু করেন জুয়ার আখরা। অপর দিকে কামারপুকুর ইউনিয়নের বাগডোকরা জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য অনেক দানবীর জমি দান করেন। দান করা জমির শহরের জসিম বাজার এলাকায় রয়েছে প্রায় ৯০ শতক জমি। আইন রয়েছে ওইসব জমি দেখাশোনা করবেন মসজিদ কমিটির সভাপতি। সে মোতাবেক ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করতেন। কিন্তু এরপর থেকে মসজিদ কমিটিতে থাকা সভাপতি আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী হওয়ায় আইনের তোয়াক্কা না করে সম্প্রতি প্লট আকারে পজেশন বিক্রি শুরু করেন। যার ফলে ক্রেতারাও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হওয়ায় ওই জমিতে ভবনও বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।কার কাছে মসজিদের জমি কিনেছেন জানতে চাইলে ক্রেতারা বলেন আমরা যার কাছে জমি ক্রয় করেছি তাদের নাম স্বরন নেই। তবে এই জমি বাগডোগরা জামে মসজিদের সভাপতি আওয়ামী নেতা মতি জোয়দ্দার পজেশন বিক্রি করেছেন।

কিভাবে এই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, কামার পুকুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,আওয়ামী নেতা আনোয়ার হোসেন সরকার এর কাছে নকশা অনুমোদন নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি ।

মসজিদের জমির ক্রেতা, বিক্রেতা ও নকশা অনুমোদনকারী আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী হওয়ায় ইতিমধ্যে ৪/৫ টি বহুতল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ওই জমিতে। বহুতর ভবন নির্মাণ কাজ রয়েছে আরো প্রায় ৩ টির। নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমি হস্তান্তর, নকশা অনুমোদন ও বহুতল ভবন নির্মাণের মত বেআইনী কাজ অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ ওয়াক্ফ বোর্ড কর্তৃপক্ষ তেমন কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না।

জানতে চাইলে আওয়ামী নেতা মতি জোয়ার্রদার বলেন, মসজিদের কোন জমিই বিক্রি করা হয় নি। তাদের ভাড়ায় থাকতে দেয়া হয়েছে। মসজিদের প্রয়োজনে সেগুলো যখনতখন উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান তিনি।

মসজিদে দান করা জমিতে অবৈধভাবে নকশা অনুমোদন দেওয়ায়  সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে মোজহারুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ও কোন ব্যাবস্হা নিচ্ছেন না। এরফলে দাপটের সাথেই দখলকারীরা ওইসব জমিতে ভবন ও বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন,উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়াকফ জমিতে নকশা অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।