গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে লুন্ঠিত কম্বল মীরপুর পল্লীবি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি কভারভ্যানও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের বুধবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া এলাকার ফোরকান খানের ছেলে রব্বানী, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার হাওলাদার কান্দি এলাকার মোন্নাফ আলীর ছেলে রিফাত হোসেন, বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী এলাকার সুলতান গাজীর ছেলে মজিব গাজী। এছাড়াও এর আগে একই ঘটনায় নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে রুবেল মিয়া, বাপ্পি হোসেন, বিল্লাল নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর শেরপুর থেকে কম্বল ভর্তি একটি কভার্ডভ্যান রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে একটি সাদা মাইক্রোবাস যোগে একদল ডাকাত ওই কভার্ডভ্যানের পিছু নেয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে কভার্ডভ্যানটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় পৌছলে মাইক্রোবাস দিয়ে গতিরোধ করা হয়। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই কার্ভাডভ্যানের চালক আলম মিয়াকে নামিয়ে তাদের মাইক্রোবাসে তুলেন এবং কার্ভাডভ্যানটি নিয়ন্ত্রণে নেয় ডাকাতদল। পরে তারা চালক আলম মিয়াকে চন্দ্র-নবীনগর মহাসড়কের চন্দ্রা নন্দন পার্কের পাশে ফেলে দিয়ে কম্বল ভর্তি কাভার্ডভ্যান নিয়ে চলে যায়। এঘটনায় ৩১ অক্টোবর সকালে ওই কর্ভাডভ্যানের চালক আলম মিয়া বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গত ১ নভেম্বর নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে রুবেল মিয়া, বাপ্পি হোসেন, বিল্লাল নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে মঙ্গলবার রাতে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঢাকার মীরপুরের পল্লবি এলাকা থেকে ১৬৫ পিচ কম্বল ও একটি কার্ভাডভ্যান উদ্ধার করে। এ সময় ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রব্বানী, রিফাত হোসেন ও মজিব গাজী নামে আরো তিনজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
কালিয়াকৈর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হলে দুই দফায় কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত ১৫৬টি কম্বল ও একটি কার্ভাডভ্যান উদ্ধার করা হয়। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।