Dhaka ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য ভালোভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে যান। বিভিন্ন সময়ে তিনি সেখান থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্র্বতী সরকার তা পছন্দ করছে না। বাংলাদেশ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বক্তৃতা বা বিবৃতি না দিতে পারেন। তবে ভারত থেকে কোনো উত্তর পায়নি বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র তৌফিক হাসান।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর কতজন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ভারতে অবস্থান করছেন-সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় ভারতের ভিসা নিয়েও কথা বলেন তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, ভারতের ভিসা না পাওয়ায় তৃতীয় দেশের ভিসাপ্রার্থীরা দিল্লির পরিবর্তে ভিয়েতনাম এবং পাকিস্তান থেকে ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা খুব শিগগির চালু হচ্ছে না। শুধু যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা দেয়া হচ্ছে। ওইদিন দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, এখন যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ভিসা দেয়া হচ্ছে। কারণ, আমাদের লোকবল কম। আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে এটি (ট্যুরিস্ট ভিসা) শুরু করা সম্ভব হবে। তবে এখন যাদের জরুরি, তাদের মেডিকেল ভিসা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতে গিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের ভিসার আবেদন যারা করছেন, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সুপেয় পানির অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোলার চরাঞ্চলের নারী-শিশুরা

ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য ভালোভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ

Update Time : ০৯:৪১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে যান। বিভিন্ন সময়ে তিনি সেখান থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্র্বতী সরকার তা পছন্দ করছে না। বাংলাদেশ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বক্তৃতা বা বিবৃতি না দিতে পারেন। তবে ভারত থেকে কোনো উত্তর পায়নি বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র তৌফিক হাসান।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর কতজন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ভারতে অবস্থান করছেন-সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় ভারতের ভিসা নিয়েও কথা বলেন তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, ভারতের ভিসা না পাওয়ায় তৃতীয় দেশের ভিসাপ্রার্থীরা দিল্লির পরিবর্তে ভিয়েতনাম এবং পাকিস্তান থেকে ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা খুব শিগগির চালু হচ্ছে না। শুধু যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা দেয়া হচ্ছে। ওইদিন দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, এখন যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ভিসা দেয়া হচ্ছে। কারণ, আমাদের লোকবল কম। আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে এটি (ট্যুরিস্ট ভিসা) শুরু করা সম্ভব হবে। তবে এখন যাদের জরুরি, তাদের মেডিকেল ভিসা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতে গিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের ভিসার আবেদন যারা করছেন, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।