Dhaka ০৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে গহনার লোভে শিশু হত্যা

যশোরের ঝিকরগাছায় নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর বাঁশ বাগান থেকে শিশু সাদিয়া খাতুনের (৭) লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসি। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিশুর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণের গহনার লোভে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে গলায় গেঞ্জি পেঁচানো অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাদিয়া খাতুন ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকোমরা গ্রামের বাবলুর রহমানের মেয়ে।

সে স্থানীয় নায়ড়া মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। নিহতের বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে প্রতিবেশী চম্পা খাতুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসি। সে একই গ্রামের আনিসুর মোড়লের মেয়ে। ধারণ করা হচ্ছে ওই শিশুর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণের গহনার লোভে পরিহিত জামা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত শিশুর দাদা ফজলুর রহমান ফজু জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঝিকরগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাদিয়াকে তার প্রতিবেশী ফুফু চম্পার সঙ্গে দেখা গেছে।

সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রামবাসী চম্পাকে রাতেই ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করে। এরপর রাত বারোটার দিকে বাড়ির পাশে বাশ বাগান থেকে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খাঁন জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ করেন। এসময় তারা চম্পা খাতুনের ওপর তাদের সন্দেহের কথা জানান। গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের হারুন অর রশিদের বাগান থেকে শিশু সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদিয়ার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

রাজধানীতে ৯৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, বেশি লালবাগ-তেজগাঁওয়ে

যশোরে গহনার লোভে শিশু হত্যা

Update Time : ০৭:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

যশোরের ঝিকরগাছায় নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর বাঁশ বাগান থেকে শিশু সাদিয়া খাতুনের (৭) লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসি। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিশুর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণের গহনার লোভে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে গলায় গেঞ্জি পেঁচানো অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাদিয়া খাতুন ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকোমরা গ্রামের বাবলুর রহমানের মেয়ে।

সে স্থানীয় নায়ড়া মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। নিহতের বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে প্রতিবেশী চম্পা খাতুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসি। সে একই গ্রামের আনিসুর মোড়লের মেয়ে। ধারণ করা হচ্ছে ওই শিশুর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণের গহনার লোভে পরিহিত জামা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত শিশুর দাদা ফজলুর রহমান ফজু জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঝিকরগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাদিয়াকে তার প্রতিবেশী ফুফু চম্পার সঙ্গে দেখা গেছে।

সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রামবাসী চম্পাকে রাতেই ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করে। এরপর রাত বারোটার দিকে বাড়ির পাশে বাশ বাগান থেকে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খাঁন জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ করেন। এসময় তারা চম্পা খাতুনের ওপর তাদের সন্দেহের কথা জানান। গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের হারুন অর রশিদের বাগান থেকে শিশু সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদিয়ার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।