বন কর্মকর্তা পরিচয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ফার্নিচার বহনকারী পিকআপে চাঁদাবাজির অভিযোগে রিপন মিয়া নামে এক বন প্রহরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রহমতগঞ্জ কবরস্থান এলাকায় চাঁদাবাজির করার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার রিপন মিয়া (৪৩) বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত ইকো পার্কের বন প্রহরী ও সদর উপজেলার জারিলা মধ্যপাড়ার আবুবক্কার মন্ডলের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিকআপ চালক কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতকয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তৈরীকৃত ফার্নিচার পিকআপযোগে ভাড়ায় বাদীসহ অন্যান্য চালকরা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা ও আশপাশের মহাজনদের কাছে পৌছে দিয়ে আসছেন। রিপন মিয়া নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে জনপ্রতি ১ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে বাদী জানতে পারেন রিপন মিয়া বন কর্মকর্তা নয়, বন প্রহরী।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাদী ফার্নিচার বোঝাই পিকআপ নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জ কবরস্থান এলাকায় পৌছলে রিপন মিয়া পিকআপ থামিয়ে চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মারধর, প্রাণনাশের হুমকি ও পিকআপ আটকের হুমকি দেওয়ায় বাদী তাকে ১ হাজার টাকা চাঁদা দেন। এরপর বাদীর পিছনে থাকা ফার্নিচার বোঝাই আরো ৬টি পিকআপ ঘটনাস্থলে পৌছলে একই কায়দায় ওই চালকদের কাছ থেকেও জোরপূর্বক চাঁদা দাবী করা হয়। এ অবস্থায় বাদী কৌশলে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রিপন মিয়াকে আটক করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার এস,আই মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে রিপন মিয়াকে আটকের পর রাতে থানা হেফাজতে রাখা হয়। শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় পিকআপ চালক মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী আরো ৫ পিকআপ চালক মামলায় সাক্ষী হয়েছেন। বিকেলে গ্রেপ্তার রিপন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।