Dhaka ০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে হেলপারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন

যশোরে সরদার ট্রাভেলস’র যাত্রীবাহি একটি বাসের হেলপার বাপ্পি সরদার (২৫) কে খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা।

যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল রোববার (১৭ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাসের হেলপার বাপ্পী কে খুন করেছে সরদার ট্রাভেলস’র আরেকটি বাসের হেলপার রানা সরদার (১৯)। তারা দুজনেই যশোর লোহাপট্টি পতিতা পল্লীর সাদিয়া আক্তার পপির প্রেমে পড়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। রানা সরদার এ ক্ষোভ থেকে বাপ্পিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন। অভিযুক্ত রানা সরদার যশোর সদরের কচুয়া ইউনিয়ের কচুয়া গ্রামের মৃত আরিফ সরদারের ছেলে।

এ ঘটনায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশ বাঘারপাড়ার ধলগা মোড়ে শনিবার বিকাল ৫ টার সময় সরদার ট্রাভেলস এর পৃথক আরেকটি গাড়ির হেলপার রানা সরদারকে তার ব্যবহৃত মোবাইলসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করেন। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা চাকু ও পরিবহনটি জব্দ করা হয়।

জানা যায়, যশোর লোহাপট্টির পতিতা পল্লীর এক মেয়ে সাদিয়া আক্তার পপির সাথে রানার প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং বিয়ে করতে চায়। পরে বাপ্পির সাথে রানা সাদিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং মোবাইলে কথা বলে। এক পর্যায়ে বাপ্পি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাদিয়ার সাথে কথা বলতে থাকে। দুজনের নাম্বার ব্যস্ত পেয়ে রানার সন্দেহ হয় এবং পরিকল্পনা করে ১৬ নভেম্বর গভীর রাতে বাসের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বাপ্পিকে চাকু দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ষ্টেপ করে হত্যা করে রানা এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিহত বাপ্পি সরদারের পিতা মোঃ ইদ্রিস বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সুপেয় পানির অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোলার চরাঞ্চলের নারী-শিশুরা

যশোরে হেলপারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন

Update Time : ০৮:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

যশোরে সরদার ট্রাভেলস’র যাত্রীবাহি একটি বাসের হেলপার বাপ্পি সরদার (২৫) কে খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা।

যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল রোববার (১৭ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাসের হেলপার বাপ্পী কে খুন করেছে সরদার ট্রাভেলস’র আরেকটি বাসের হেলপার রানা সরদার (১৯)। তারা দুজনেই যশোর লোহাপট্টি পতিতা পল্লীর সাদিয়া আক্তার পপির প্রেমে পড়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। রানা সরদার এ ক্ষোভ থেকে বাপ্পিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন। অভিযুক্ত রানা সরদার যশোর সদরের কচুয়া ইউনিয়ের কচুয়া গ্রামের মৃত আরিফ সরদারের ছেলে।

এ ঘটনায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশ বাঘারপাড়ার ধলগা মোড়ে শনিবার বিকাল ৫ টার সময় সরদার ট্রাভেলস এর পৃথক আরেকটি গাড়ির হেলপার রানা সরদারকে তার ব্যবহৃত মোবাইলসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করেন। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা চাকু ও পরিবহনটি জব্দ করা হয়।

জানা যায়, যশোর লোহাপট্টির পতিতা পল্লীর এক মেয়ে সাদিয়া আক্তার পপির সাথে রানার প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং বিয়ে করতে চায়। পরে বাপ্পির সাথে রানা সাদিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং মোবাইলে কথা বলে। এক পর্যায়ে বাপ্পি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাদিয়ার সাথে কথা বলতে থাকে। দুজনের নাম্বার ব্যস্ত পেয়ে রানার সন্দেহ হয় এবং পরিকল্পনা করে ১৬ নভেম্বর গভীর রাতে বাসের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বাপ্পিকে চাকু দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ষ্টেপ করে হত্যা করে রানা এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিহত বাপ্পি সরদারের পিতা মোঃ ইদ্রিস বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন করেন।