Dhaka ০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের ছাতকে দু ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আহমদের শাস্তিসহ প্রত্যাহারের দা‌বি‌তে শিক্ষাথীদের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল, মানবন্ধন ও সড়ক অব‌রোধ ক‌রে‌ছে। গত রোববার সকা‌লে বিদ্যালয় সংলগ্ন ছাতক-সিলেট সড়কে শিক্ষার্থীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে  বিতর্কিত ওই শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবীতে প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়কে অবরোধরক শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেয়। প‌রে প্রতিষ্ঠানের মা‌ঠে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। পরবর্তীতে ছাতক ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালান। এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক পক্ষ শিক্ষকের অপসারণ চাইলে ওই বিদ্যালয়ে অপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে বহাল থাকার দাবি তুলে। প্রায় দেড় ঘন্টা পর পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষম সমিতির সেক্রেটারিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা যায়, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের বারান্দায় গল্প করছিল ৭ম শ্রেনির ছাত্র মাহিন আহমদ ও রবিউল হাসান শাওন। তাৎক্ষনিক ছাত্র দুইজনকে টেনে হেচড়ে ক্লাসে নিয়ে স্টীলের স্কেল ও গাছের ডাল দিয়ে তাদেরকে ব্যাপক মারধর করেন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে ছাত্র দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেন তিনি। নির্যাতনে আহত মাহিন আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরদিন শিক্ষার্থী মাহিন আহমদের মা, স্থানীয় হাসনাবাদ গ্রামের শাহেদ আলীর স্ত্রী হাছনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া অভিযোগটির অনুলিপি জেলা ও উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ছাতক সেনা ক্যাম্প এবং ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর আহত ছাত্র দুইজনকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ফজলুল করিম বকুলসহ হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। তারা ছাত্রদের অভিভাবকদের শান্তনা দেন। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ে শিক্ষক মন্ডলীদের সমন্বয়ে শেষ করার উদ্যোগ নেন শিক্ষক নেতা। কিন্তু ওইদিন সকালে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবরোধ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পৌনে এক ঘন্টা বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু

শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল মানববন্ধন

Update Time : ০৮:১৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতকে দু ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আহমদের শাস্তিসহ প্রত্যাহারের দা‌বি‌তে শিক্ষাথীদের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল, মানবন্ধন ও সড়ক অব‌রোধ ক‌রে‌ছে। গত রোববার সকা‌লে বিদ্যালয় সংলগ্ন ছাতক-সিলেট সড়কে শিক্ষার্থীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে  বিতর্কিত ওই শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবীতে প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়কে অবরোধরক শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেয়। প‌রে প্রতিষ্ঠানের মা‌ঠে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। পরবর্তীতে ছাতক ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালান। এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক পক্ষ শিক্ষকের অপসারণ চাইলে ওই বিদ্যালয়ে অপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে বহাল থাকার দাবি তুলে। প্রায় দেড় ঘন্টা পর পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষম সমিতির সেক্রেটারিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা যায়, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের বারান্দায় গল্প করছিল ৭ম শ্রেনির ছাত্র মাহিন আহমদ ও রবিউল হাসান শাওন। তাৎক্ষনিক ছাত্র দুইজনকে টেনে হেচড়ে ক্লাসে নিয়ে স্টীলের স্কেল ও গাছের ডাল দিয়ে তাদেরকে ব্যাপক মারধর করেন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে ছাত্র দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেন তিনি। নির্যাতনে আহত মাহিন আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরদিন শিক্ষার্থী মাহিন আহমদের মা, স্থানীয় হাসনাবাদ গ্রামের শাহেদ আলীর স্ত্রী হাছনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া অভিযোগটির অনুলিপি জেলা ও উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ছাতক সেনা ক্যাম্প এবং ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর আহত ছাত্র দুইজনকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ফজলুল করিম বকুলসহ হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। তারা ছাত্রদের অভিভাবকদের শান্তনা দেন। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ে শিক্ষক মন্ডলীদের সমন্বয়ে শেষ করার উদ্যোগ নেন শিক্ষক নেতা। কিন্তু ওইদিন সকালে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবরোধ করে।