গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন মূলক কাজে এডিপি ৯২ টি প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোন প্রকার কাজ না করে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে আড়াই কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৯২ টি প্রকল্পে কোন প্রকার টেন্ডার না করিয়ে কোটেশন বিজ্ঞপ্তি/কমিটির মাধ্যমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে বেমালুম অর্থ লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ থাকে যে, গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৌশল বিভাগের যোগসাজশে উপজেলায় কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কৃষকের মধ্যে স্প্রে মেশিন কেনা ও বিতরন দেখানো হয়েছে শুধু মাত্র কাগজ কলমে ৫০ লাখ টাকার। টেন্ডারের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম কেনার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
প্রকল্প কমিটি করা হয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে। ৫০ লাখ টাকার স্প্রে মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরনের কথা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় নি। মাঠ পর্যায়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন জানান কমিটি ও বিতরনের ব্যাপারে আমরা অবগত নই। এডিপির সরঞ্জামাদি বিতরণ সামগ্রির মধ্যে দেখানো হয়েছে স্প্রে মেশিন ৫০টি, সেলাই মেশিন ৫০টি বাবদ ১৫.৫০ লাখ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৬ লাখ টাকার স্যানেটারি ন্যাপকিন, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ১৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন অফিস রং ও সংস্কার করা বাবদ ৮০ লাখ টাকা, তিস্তা শাখা নদীর উপর ব্রীজ নির্মান বাবাদ ২৭ লাখ টাকা এসব মাত্র ভূয়া ভাউচারে শোভাবদ্ধন পাছে। এসব বিতরনের লিষ্ট/তালিকা চেয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নাফ এর নিকট বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও তিনি দৃশ্যমান তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা তথ্যের জন্য তার নিকট ছোটাছুটি করলেও তিনি কোন তথ্য দেন নি।
সুন্দরগঞ্জে এডিপি প্রকল্পের ২.৫০ কোটি টাকার ৯২ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ১৫ ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী পন্থী মেম্বার, মহিলা ভাইসচেয়াম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী অফিসারের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ বলেন কমিটি গঠন করে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাতে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। কাজ যথারীতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে তিস্তা শাখা নদীর উপরে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ কাজ শেষের আগে ভেঙ্গে যাওয়ায় বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ২.৫০ কোটি টাকা ৯২ টি প্রকল্পের অনুকুলে বাস্তবায়ন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে তা যেন শুভঙ্করের ফাঁকি বলে আখ্যায়িত করেছেন স্থানীয় সুধীমহল।