মেহেরপুরের গাংনী সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু ও এক শিক্ষিকাকে লাঞ্চিতর প্রতিবাদ ও দোষি শিক্ষককের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে উপজেলা চত্ত্বরে সমাবেত হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, বেশ কিছুদিন যাবত তাদের বেতন অফিসে দেয়ার নির্দেশ দেন বিদ্যালয়ের ভকেশনাল সেক্শনের শিক্ষক আক্তার, নাজমুল ও মেজবাহ। এদিকে প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু শিক্ষার্থীদের বেতন স্ব স্ব শ্রেণি শিক্ষককে প্রদানের নির্দেশ দেন। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রধান শিক্ষককে মারধরও করা হয়েছে। গত রোব্বার সকালে অ্যাসেম্বলির সময় আবার কয়েকজন শিক্ষকের সাথে ভোকেশনাল সেকশানের শিক্ষক আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে প্রতিবাদ করেন এক শিক্ষিকা। এসময় ওই শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত করেন শিক্ষক আক্তার, মেজবাহ ও নাজমুল। তারা ওই শিক্ষিকার ওড়না কেড়ে নেয় ও জামা ছিড়ে ফেলে।
শিক্ষক আক্তার, মেজবাহ ও নাজমুল জানান, নিয়মানুযায়ি প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের বেতন অফিসে জমা দিবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু স্ব স্ব ক্লাস টিচারকে দিতে বলেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। বরং এক শিক্ষিকা তার পায়ের হিল খুলে শিক্ষক আক্তারকে ছুড়ে মারে। অথচ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহিত করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যা কাম্য নয়। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করেছেন ও বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর প্রতিবাদ করার কারনেও প্রধান শিক্ষক নাখোশ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু জানান, জেনারেল ও ভোকেশনালের শিক্ষকরা নিজ নিজ সেকশনে পাঠ দান করেন। কিছুদিন আগ থেকে ভকেশনাল শিক্ষক দিয়ে জেনারেলের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য চাপ দেন শিক্ষক আক্তার, নাজমুল ও মেজবাহ। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের বেতন প্রদান নিয়েও মতোবিরোধ সৃষ্টি করেন। গত রোব্বার অ্যাসেম্বলির সময় এনিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করে ওড়না কেড়ে নেয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবোদ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিদ্যালয়ে অর্থ আত্মসাত ও গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এই প্রধান শিক্ষক।
গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন জানান, তিনি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।