গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মঙ্গলবার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচনা বৈঠকে ঢুকে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এঘটনায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার সফিপুর মালেক চৌধুরী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। গত সোমবার ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির গণিত ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক সাঈদ। এসময় তিনি গণিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় নোহা, সাদিয়া, তানজিলা ও তায়েবা নামে চার শিক্ষার্থীকে শাসন করেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শাসনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক আঘাত করেন ওই শিক্ষক। তার আঘাতের ফলে ওই চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ধরনের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবে। শিক্ষকের শাস্তি দেওয়ার এমন পদ্ধতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এদিকে এ ঘটনার সমাধানের জন্য মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আলোচনা চলাকালে শিক্ষার্থী নোহার অভিভাবক রফিক এবং শিক্ষকদের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় বহিরাগত কিছু যুবক ওই আলোচনা বৈঠকে ঢুকে শিক্ষক সাব্বিরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এর প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দিনব্যাপী বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বিকেল ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকদের উপর হামলা শুধু অন্যায় নয়, এটি আমাদের সম্মানহানির শামিল। আমরা এর বিচার চাই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, এটা একটা দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(ওসি ) মহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।