অসহায় মানুষের জন্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৩ পরিবাকে স্বল্পমূল্য নিত্যপন্য দিচ্ছে সরকার। জেলার ৭১ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তার মাধ্যমে সুবিধাভোগিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত মাসে। চলতি নভেম্বর মাসে তালিকা হালনাগাদ করে বরাদ্দ প্রক্রিয়া শেষে জেলার সরকার নিয়োজিত ৩১ জন ডিলারের মাধ্যমে উক্ত নিত্যপন্য বিক্রি শীগ্রই শুরু করবেন ডিলাররা।ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্যাকেজে ৪৭০ টাকায় ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল বরাদ্দ পাবে ভোক্তারা। বাজারে নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় টিসিবির এ সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন শাখা।জেলা টিসিবি ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জানান- জেলার ৩২ জন নিয়োজিত ডিলার স্বল্পমূল্যে টিসিবির পন্য বিক্রি করছে তাদের দোকানে এবং সরকার নির্ধারিত ইউনিয়ন পরিষদে। শুধুমাত্র স্মাট কার্ডধারিরা এ পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছে। এটিকে আরো কার্যকর করতে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে স্মার্ট ফ্যামেলি কার্ডের তালিকা করে পরিষদে ও ডিলারদের দোকানে বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। মাসের নির্দিষ্ট দিনে উপকারভোগিদের এ পন্য বিক্রি করা হয়।
তবে ডিলাররা তাদের সেন্টারে ও এ পণ্য বিক্রি করে। বিশেষ করে পৌর এলাকায় নিয়োজিত ডিলাররা তাদের দোকানে টিসিবির এসব পন্য বিক্রি করার কারনে অসহায় দরিদ্র মানুষের বেশ উপকারে আসছে। টিসিবির এসব পন্য ক্রয়ের সারিতে ইদানীং বেড়েছে মধ্যবিত্তের লাইন। তেল,চিনি, মশুরডাল কিনতে বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের অপেক্ষা চোখে পড়ার মত। তবে চলতি নভেম্বর মাসের বরাদ্দে শুধু চাল, ডাল তেল দেয়া হয়েছে।জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, জেলার নভেম্বর মাসে ৯ উপজেলার উপকারভোগি যারা ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য পাবে তাদের পরিসংখ্যান হলো চকরিয়া উপজেলায় ২১৫১৮ পরিবার, সদর উপজেলায় ১৪৩৯১ পরিবার, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫৫৯৫ পরিবার, মহেশখালী উপজেলায় ১৫৮৩৯ পরিবার, পেকুয়া উপজেলায় ৬৭৯৭ পরিবার, রামু উপজেলায় ৩২৫৫ পরিবার, টেকনাফ উপজেলায় ১৫২৬৩ পরিবার, উখিয়া উপজেলায় ১৬৪৪৭ পরিবার। জেলায় মোট ১লক্ষ ১৫ হাজার ৮৫৩ পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর কক্সবাজার জেলার ৩১ ডিলারকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৩ ফ্যামিলি কার্ডের বরাদ্দ ছাড় প্রদান করে টিসিবির চট্টগ্রাম অফিস।