Dhaka ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনুকূল আবহাওয়া ও স্বল্প খরচে অধিক লাভ মেহেরপুরে টমেটো চাষে কৃষকের বাজিমাত

মেহেরপুরে কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় আগাম শীতকালীন টমেটোর চাষ করে বাজিমাত করছে চাষিরা। গেল বছর বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই থেকে তিন লাষ টাকা ঘরে তুলেছে কৃষক। এবছরও টমেটোর গাছ ও ফলন ভাল হয়েছে। বাজার দরও ভাল। বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে গেল বছরের মত এবছরও ভাল লাভের আশা করছে চাষিরা।

কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও সুষম সার ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতি ও এ (অ) প্যাটার্ণ মাচার মাধ্যমে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষ করছেন চাষীরা। জেলার মাটি উঁচুভূমি হওয়া জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়না। গরম ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও এখন অনুকল আবহওয়ায় গাছ ও টমেটোর ফলন ভাল হচ্ছে। কৃষকরা মাঠ থেকে টমেটো উঠিয়ে বাজারজাত করা শুরু করেছে।

কাঁচা টমেটা পাইকারী একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চাহিদাও ভাল। গেল বছর এই টমেটো ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এবছর আরো বেশি দাম পাচ্ছে চাষীরা। বিঘা প্রতি টমেটো চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। এই জমি থেকে অন্তত সাড়ে তিন থেকে ৪ লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রির আশা তাদের। জেলায় এবার প্রায় দেড়শ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে।

গাংনীর সাহারবাটির চাষি আবুল হোসেন জানান, আগের তুলনায় টামেটো চাষে খরচ বাড়লেও মালচিং পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবস্থাপণা, এ (অ) প্যাটার্ণ মাচায় চাষ করে দুই থেকে তিনগুন লাভ হচ্ছে। যার কারণে প্রতি বছর নতুন নতুন কৃষি উদ্যেক্তা টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। গেল বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। এবছর চার বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। বাম্পার ফলনেরও আশা করছেন তিনি। একই কথা জানালেন বামনপাড়ার চাষি কাশেম ও আখের আলী।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, আগাম শীতকালীন টমেটো বাজারে উঠা শুরু হয়েছে। কৃষকরা কৃষি বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধমে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করছে। ফলে ভাল লাভ হওয়ায় অনান্য কৃষকরাও টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সুমনের পরিবারকে অটো গাড়ি উপহার

অনুকূল আবহাওয়া ও স্বল্প খরচে অধিক লাভ মেহেরপুরে টমেটো চাষে কৃষকের বাজিমাত

Update Time : ১২:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরে কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় আগাম শীতকালীন টমেটোর চাষ করে বাজিমাত করছে চাষিরা। গেল বছর বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই থেকে তিন লাষ টাকা ঘরে তুলেছে কৃষক। এবছরও টমেটোর গাছ ও ফলন ভাল হয়েছে। বাজার দরও ভাল। বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে গেল বছরের মত এবছরও ভাল লাভের আশা করছে চাষিরা।

কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও সুষম সার ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতি ও এ (অ) প্যাটার্ণ মাচার মাধ্যমে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষ করছেন চাষীরা। জেলার মাটি উঁচুভূমি হওয়া জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়না। গরম ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও এখন অনুকল আবহওয়ায় গাছ ও টমেটোর ফলন ভাল হচ্ছে। কৃষকরা মাঠ থেকে টমেটো উঠিয়ে বাজারজাত করা শুরু করেছে।

কাঁচা টমেটা পাইকারী একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চাহিদাও ভাল। গেল বছর এই টমেটো ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এবছর আরো বেশি দাম পাচ্ছে চাষীরা। বিঘা প্রতি টমেটো চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। এই জমি থেকে অন্তত সাড়ে তিন থেকে ৪ লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রির আশা তাদের। জেলায় এবার প্রায় দেড়শ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে।

গাংনীর সাহারবাটির চাষি আবুল হোসেন জানান, আগের তুলনায় টামেটো চাষে খরচ বাড়লেও মালচিং পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবস্থাপণা, এ (অ) প্যাটার্ণ মাচায় চাষ করে দুই থেকে তিনগুন লাভ হচ্ছে। যার কারণে প্রতি বছর নতুন নতুন কৃষি উদ্যেক্তা টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। গেল বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। এবছর চার বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। বাম্পার ফলনেরও আশা করছেন তিনি। একই কথা জানালেন বামনপাড়ার চাষি কাশেম ও আখের আলী।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, আগাম শীতকালীন টমেটো বাজারে উঠা শুরু হয়েছে। কৃষকরা কৃষি বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধমে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করছে। ফলে ভাল লাভ হওয়ায় অনান্য কৃষকরাও টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।