ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ব্যক্তি পরিবর্তন হয়েছে, বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজী। ওসি বদলি হয়, ডিসি বদলী হয়; কিন্তু চাঁদার সিস্টেম থেকেই গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। শুক্রবার বিকালে ভোলা সরকারী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটরাজ বন্ধ করতে হলে ইসলামী শাসন কায়েম করতে হবে। যতদিন ইসলামী শাসন কায়েম না হবে, ততদিন এ দুর্নীতিবাজকে দমন করা যাবে না। সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন ও ভোলার গ্যাস ভোলাসহ বরিশাল বিভাগে ব্যবহারে নিশ্চিত করতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে ভোলার মানুষদের সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ এবং শান্তির প্রতিক হাতপাখা। তাই সকলকে হাত পাখায় সমর্থন দেওয়ার আহ্বান করেন নায়েব আমীর। ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যদি ভোটের অধিকার নিশ্চিত না করে তাহলে অতীতের কমিশনের মত তাদেরও অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। এ দেশের জনগণ ছাড় দিবে না।
ভোলার আবাসনে গ্যাস সংযোগ, ইন্ট্রাকো সাথে অবৈধ চুক্তি বাতিল, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেট বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে গণ-সমাবেশে ভোলা জেলা (উত্তর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদদানের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, ভোলা সদর আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা। গণ-সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ইয়াসিন নবীপুরী, মাওলানা আবদুর রহমান, মাওলানা তাজ উদ্দিন ফারুকী, মাওলানা মুজির উদ্দিন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, ছাত্র প্রতিনিধি রাহিম ইসলাম প্রমূখ।