Dhaka ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডোমারে আগাম আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই আলু

নীলফামারীর ডোমার, মির্জাগঞ্জ, চিলাহাটিতে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই নতুন আলু। পাইকারি দামে সহনশীলতা থাকলেও হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজার গুলোতে কয়েকগুণ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার উত্তোলনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম। এসময় ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা আলু চাষীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আগাম ফসল উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানে পরামর্শ প্রদান করেন।

ডোমার উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে আগাম জাতের আলু প্রথম উত্তোলন করা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার চিলাহাটির ০১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে আগাম রুমানা জাতের আলু চাষ করেন। তিনি জানান, আলুর ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। ক্ষেতেই তিনি তার আলু বিক্রি করে দেন। প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২১মন। প্রতি মন আলু পাইকারি দামে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তবে আলুগুলো উত্তোলন করে ক্ষেতেই ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাইকাররা। একই এলাকার আলু চাষী জহুরুল ইসলাম ১০বিঘা জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন আলু উত্তোলন করেন। পাইকারি ১শত ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন জামালপুরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে। ফলে স্থানীয় হাট বাজারে এখনো দেখা মিলছে না নতুন আলুর। চিলাহাটির গোসাইগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মোহন্ত জানান, আগাম আলু উত্তোলন হলেও সেগুলো এখানকার স্থানীয় বাজারে সরবরাহ হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু বপন করা হয়েছে ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। বপন শুরু করা হয় ২১সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫৮দিনেই ফসল ঘরে উঠেছে। তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে জানতে পারেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪শত টাকা কেজি দরে। যাহা পাইকারি দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া ডোমার উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭শত ৩০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। নতুন আলু উত্তোলন হলেও জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন পর্যন্ত এই নতুন আলুর দেখা মেলেনি। পুরাতন আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে বাজারের সঙ্গে তাল মেলাতে বাজার মনিটরিং এর জন্য সরকারি উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার সাধারণ ক্রেতারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ডোমারে আগাম আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই আলু

Update Time : ১০:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নীলফামারীর ডোমার, মির্জাগঞ্জ, চিলাহাটিতে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই নতুন আলু। পাইকারি দামে সহনশীলতা থাকলেও হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজার গুলোতে কয়েকগুণ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার উত্তোলনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম। এসময় ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা আলু চাষীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আগাম ফসল উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানে পরামর্শ প্রদান করেন।

ডোমার উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে আগাম জাতের আলু প্রথম উত্তোলন করা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার চিলাহাটির ০১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে আগাম রুমানা জাতের আলু চাষ করেন। তিনি জানান, আলুর ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। ক্ষেতেই তিনি তার আলু বিক্রি করে দেন। প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২১মন। প্রতি মন আলু পাইকারি দামে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তবে আলুগুলো উত্তোলন করে ক্ষেতেই ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাইকাররা। একই এলাকার আলু চাষী জহুরুল ইসলাম ১০বিঘা জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন আলু উত্তোলন করেন। পাইকারি ১শত ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন জামালপুরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে। ফলে স্থানীয় হাট বাজারে এখনো দেখা মিলছে না নতুন আলুর। চিলাহাটির গোসাইগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মোহন্ত জানান, আগাম আলু উত্তোলন হলেও সেগুলো এখানকার স্থানীয় বাজারে সরবরাহ হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু বপন করা হয়েছে ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। বপন শুরু করা হয় ২১সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫৮দিনেই ফসল ঘরে উঠেছে। তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে জানতে পারেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪শত টাকা কেজি দরে। যাহা পাইকারি দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া ডোমার উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭শত ৩০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। নতুন আলু উত্তোলন হলেও জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন পর্যন্ত এই নতুন আলুর দেখা মেলেনি। পুরাতন আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে বাজারের সঙ্গে তাল মেলাতে বাজার মনিটরিং এর জন্য সরকারি উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার সাধারণ ক্রেতারা।