ভারত ভয়াবহ বায়ু দূষণের কবলে পড়েছে । আজ দেশটির বেশ কয়েকটি শহর বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। এর মধ্যে ৪৯৩ স্কোর নিয়ে আজ শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ৩০২ স্কোর নিয়ে ভারতের কলকাতা রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।একই সময়ে ২০৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই।
এছাড়া ৩৯৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর লাহোর।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ২২৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বায়ুদূষণ বিশ্ববাসীর জন্য এক বড় সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর পেছনে দায়ী করা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ। অস্বাভাবিকভাবে বায়ুদূষণ বৃদ্ধিতে মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যুঝুঁকি বেড়েই চলেছে।