কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ শয্যার সেবা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারর কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা শাখা। এ উপলক্ষে ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং শনিবার বিকেলে চৌড়হাস মোড়ে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের উদ্যোগে কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল চালু করার প্রশাসনিক অনুমতি প্রাপ্তীতে ‘শুকরিয়া সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়।
চৌড়হাস মোড়ে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের অঞ্চল সদস্য খন্দকার একে এম আলী মুহসীন, জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা সেক্রটারী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার, সহকারী সেক্রেটারী সোহরাবউদ্দিন, কুমারখালী-খোকসা সংসদ প্রার্থী আফজাল হোসাইন, শহর ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা প্রমুখ।
সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমল থেকেই কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মান কাজের শুরু থেকেই দুর্র্ণীতির গহবরে চলে যায়। ফলে বিলম্বিত হতে থাকে এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা। গত ৫ আগষ্টের বিপ্লবের পর থেকেই এই হাসাপাতালটি পুর্নাঙ্গভাবে চালূ করে এঅঞ্চলের মানুষের মাঝে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে চলেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিভিন্নভাবে যোগাযোগের ফসল হিসেবেই মন্ত্রনালয় গত ১৮নভেম্বর ৫০০শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেয়। নেতৃবৃন্দ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শোকরজ্ঞাপন করে বলেন, কুষ্টিয়ার বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্ণীতির কারনেই আজ বন্ধ রয়েছে। জেলার সর্বত্র চলছে দুর্ণীতির মহোৎসব।
কিন্তু জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে চাই। কুষ্টিয়ার ক্ষেত্রে যেখানে দুর্নীতি সেখানেই জামায়াতের নেতাকর্মীদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ এবং আহতদের ত্যাগের মহিমায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদের ঋণ শোধ করিতে দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। তা নাহলে ২০২৪ গনঅভ্যূত্থানের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে।