অভিযোগে জানা যায়, জুলাই-আগষ্ট গণহত্যা ঘটনায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামীলীগলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের নেতাদের প্রকাশ্যে, গোপনে হুকুমে হামলা করলে অনেকে আহত হয় এবং রফিকুল হাসান বৈদ্যুতিক শর্ট করে হত্যা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, এসএম কামাল হোসেন, শেখ জুয়েল, সালাম মুর্শেদী, সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক প্যানেল মেয়র মনিররুজ্জামান খোকন, সাবেক মন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, মোস্তফা কামাল পাশা, মাখছুদ আলম খাজা, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ শাহজালাল সুজন, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, মাহফুজুর রহমান মার্শাল, শেখ সোহেল, রাশেদ, হোয়াইট, দীপু, ফারুক, বেগ লিয়াকত আলী, হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাগর, পরশ, ঐশ্বর্য, হাসিবুর রহমান, সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম, এস এম হাবিব, মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, শাহ আলম, সুনিল দাশ, রকিব উদ্দিন পান্নু, মকবুল হোসেন মিন্টু, নেয়ামুল হোসেন কচি, আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, জাহিদুল ইসলাম, ছাত্র নেতা সালাউদ্দিন সবুজ, আসাদ শেখ, তুহিন হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন, আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ আলী, সামসুউদ্দিন প্রিন্স, নাইমুল ইসলাম খালেদ, খুরশিদ আলম টোনা, শেখ মফিজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম মুন্না, হাসান ইফতেখার, রাজু হাসান, জাকির হোসেন বিপ্লব, গাউসুল আজম, ইমরুল হাসান, আবুল কালাম, ইমাম হাসান, মাহমুদ ডন, আলী আকবর টিপু, রফিউদ্দিন, জিয়াউল আহসান, সাইফুল ইসলাম ফকির, মোস্তফা রশিদী, আরিফ হোসেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান পপলু, অ্যাডভোকেট এস এম মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আয়ুব আলী, শেখ জালাল, হালিমা রহমান, শেখ জাকির হোসেন, তসলিম হাসান আশাসহ ৩শ’ নামধারী ও ১৫ শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগটির ধারা হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩এর ৩(২)ও৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ।