গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিজের বাসার ভাড়াটে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষককে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার মুন্সিরটেক এলাকার সিফাত আলী ওরফে ছিবার আলীর ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৩৮)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী দীর্ঘদিন আগে গাইবান্ধা থেকে জীবিকার খোঁজে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। পরে তারা উপজেলার পূর্বচান্দরা পাশাগেট মুন্সিটেক এলাকায় আব্দুল রাজ্জাকের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সেখানে ভাড়া থেকে ওই নারী স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু ওই বাড়ির অন্য এক ভাড়াটে অপর পোশাক শ্রমিক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই প্রেমের সম্পর্কেও জেরে তাদের দুজনের মধ্যে বিবাহ হয়।
বিয়ের কিছুদিন পরে ওই নারী শ্রমিককের বাবা-মা দেশের বাড়ি চলে যান। গত রোববার সন্ধ্যায় তার স্বামী আরিফুল কর্মস্থল পোশাক কারখানায় কাজে যোগদান দেন। এরপর ওই নারী শ্রমিককের এক বন্ধু তাদের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সুযোগে বাড়ির মালিক রাজ্জাক ওই নারীর কক্ষে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে বাড়ির মালিক রাজ্জাক ওই নারীর বন্ধুর কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায় তার কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেন বাড়ির মালিক রাজ্জাক।
এরপর ওই বাড়ির মালিক তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। তার স্বামী আরিফুল কাজ শেষে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরলে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায় স্ত্রী ওই নারী শ্রমিক। এর আগেও ওই বাড়ির মালিক বিভিন্ন সময় ওই নারী শ্রমিককে কু- প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এসব ঘটনা শুনে ওইদিন রাতেই ওই নারী শ্রমিকের স্বামী আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই বাড়ির মালিক আব্দুল রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী রাজ্জাককে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কালিয়াকৈর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী জানান, ভাড়াটে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে ওই বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃতকে গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।