Dhaka ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলু পেঁয়াজের অনলাইন স্লোট বুকিং বন্ধ, প্রতিবাদে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন সেদেশের ব্যাবসায়ীরা

ভারতের পশ্চিম বঙ্গে আলু, পেঁয়াজের সংকটের অজুহাতে অনলাইন স্লোট বন্ধ রেখেছেন পশ্চিম বঙ্গ সরকার মমতা ব্যানর্জী। রোববার থেকে সার্ভারে স্লোট বুকিং বন্ধ করায় পরদিন সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুটি পণ্য  আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্যসব পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। অনলাইন স্লোড বুকিং বন্ধের পর ভারতের রপ্তানিকারকরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিকবার স্লোড বুকিং চালু করার অনুরোধ জানান সেদেশের ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু দু’দিনেও এর প্রতিকার না পেয়ে সোমবার এর প্রতিবাদে সবধরণের পণ্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন। ফলে সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোন পণ্য আমদানি করতে পারেননি বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, এলসি খুলে আমদানি করতে না পারায় লোকশান গুনতে হবে।

আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, পশ্চিম বঙ্গসরকার বেআইনী ভাবে অনলাইন স্লোট বুকিং বন্ধ রেখেছেন। এটা যদি কেন্দ্র সরকার না দিত তাহলে ঠিক ছিল। তারা তাদের রাজ্যের আলু, পেঁয়াজ না দিক আমরা অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করবো।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, ভারতের পশ্চিম বঙ্গ সরকার আলু, পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে অনলাইন স্লোট বুকিং বন্ধ রেছেনে। এ প্রতিবাদে মঙ্গলবার  ভারতের ব্যাসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন। ভারতের ব্যাবসায়ীদের উদ্ধৃতী দিয়ে তিনি আরো জানান, সেদেশের ব্যাবসায়ী নেতারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে মিটিং করছেন। আশা করি অচিরেই এর সমাধান হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউর ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক ৯ ডিসেম্বর

আলু পেঁয়াজের অনলাইন স্লোট বুকিং বন্ধ, প্রতিবাদে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন সেদেশের ব্যাবসায়ীরা

Update Time : ০৯:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের পশ্চিম বঙ্গে আলু, পেঁয়াজের সংকটের অজুহাতে অনলাইন স্লোট বন্ধ রেখেছেন পশ্চিম বঙ্গ সরকার মমতা ব্যানর্জী। রোববার থেকে সার্ভারে স্লোট বুকিং বন্ধ করায় পরদিন সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুটি পণ্য  আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্যসব পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। অনলাইন স্লোড বুকিং বন্ধের পর ভারতের রপ্তানিকারকরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিকবার স্লোড বুকিং চালু করার অনুরোধ জানান সেদেশের ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু দু’দিনেও এর প্রতিকার না পেয়ে সোমবার এর প্রতিবাদে সবধরণের পণ্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন। ফলে সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোন পণ্য আমদানি করতে পারেননি বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, এলসি খুলে আমদানি করতে না পারায় লোকশান গুনতে হবে।

আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, পশ্চিম বঙ্গসরকার বেআইনী ভাবে অনলাইন স্লোট বুকিং বন্ধ রেখেছেন। এটা যদি কেন্দ্র সরকার না দিত তাহলে ঠিক ছিল। তারা তাদের রাজ্যের আলু, পেঁয়াজ না দিক আমরা অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করবো।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, ভারতের পশ্চিম বঙ্গ সরকার আলু, পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে অনলাইন স্লোট বুকিং বন্ধ রেছেনে। এ প্রতিবাদে মঙ্গলবার  ভারতের ব্যাসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন। ভারতের ব্যাবসায়ীদের উদ্ধৃতী দিয়ে তিনি আরো জানান, সেদেশের ব্যাবসায়ী নেতারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে মিটিং করছেন। আশা করি অচিরেই এর সমাধান হবে।