Dhaka ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে বাদামের বাম্পার ফলনে ভাগ্যের চাক্কা ঘুরেছে কৃষকের

বাদাম চাষে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে জেলার রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার চরাঞ্চলের বাদাম চাষি কৃষকদের।

সরেজমিন ঘুরে কৃষকের বরাত দিয়ে জানা গেছে দুই উপজেলায় প্রায় দুইহাজার হেক্টর জমিতে এবার বাদামের চাষ হয়েছে। এতে বাদামের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে পাশাপাশি দামেও পাচ্ছেন চাহিদামতে। এ কারনে ভাগ্যের চাক্কাও ঘুরছে দূরত্ব গতিতে। কারন বিঘা প্রতি খরচা হয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর ৬২শতকের বিঘায় বাদামের ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ মন বাদাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ হাজার থেকে ৩৫ শো টাকা। এতে বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।

এবিষয় চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি কৃষক মনির হোসেন- রজিনা আকতার,আঃ ছালাম,আঃ হান্নানসহ আরও অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ২০ হাজার টাকা খরচা করে একবিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ১ লাখ টাকার বাদাম বিক্রয় করতে পেরে আনন্দের সাগরে ভাসছে এবারের বাদাম চাষিরা। তারা আরও জানায় এবার শেষের দিকে একটি বন্যা এসে আগাম বাদাম চাষ করা হয়েছিল ওখানে বড়মাপের ক্ষতিও হয়েছে। তারপরও যেটুকু ছিলো সেই টুকুতেও অনেক লাভ হচ্ছে। এমনটি জানিয়েছে রৌমারী রাজিবপুরের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল কাইউম বলেন, উপজেলায় এবার ১১শত ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। তবে শেষ বন্যায় প্রায় ২শত হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। আবহাওয়া শুস্ক থাকায় এবার বাদাম চাষ ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাদামের দামও ভালো। কৃষকরা এবার বাদামে লাভবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন বলেন চরাঞ্চলে ব্যাপক বাদামের চাষ হয়েছে। ফলনও অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউর ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক ৯ ডিসেম্বর

কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে বাদামের বাম্পার ফলনে ভাগ্যের চাক্কা ঘুরেছে কৃষকের

Update Time : ০২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাদাম চাষে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে জেলার রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার চরাঞ্চলের বাদাম চাষি কৃষকদের।

সরেজমিন ঘুরে কৃষকের বরাত দিয়ে জানা গেছে দুই উপজেলায় প্রায় দুইহাজার হেক্টর জমিতে এবার বাদামের চাষ হয়েছে। এতে বাদামের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে পাশাপাশি দামেও পাচ্ছেন চাহিদামতে। এ কারনে ভাগ্যের চাক্কাও ঘুরছে দূরত্ব গতিতে। কারন বিঘা প্রতি খরচা হয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর ৬২শতকের বিঘায় বাদামের ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ মন বাদাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ হাজার থেকে ৩৫ শো টাকা। এতে বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।

এবিষয় চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি কৃষক মনির হোসেন- রজিনা আকতার,আঃ ছালাম,আঃ হান্নানসহ আরও অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ২০ হাজার টাকা খরচা করে একবিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ১ লাখ টাকার বাদাম বিক্রয় করতে পেরে আনন্দের সাগরে ভাসছে এবারের বাদাম চাষিরা। তারা আরও জানায় এবার শেষের দিকে একটি বন্যা এসে আগাম বাদাম চাষ করা হয়েছিল ওখানে বড়মাপের ক্ষতিও হয়েছে। তারপরও যেটুকু ছিলো সেই টুকুতেও অনেক লাভ হচ্ছে। এমনটি জানিয়েছে রৌমারী রাজিবপুরের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল কাইউম বলেন, উপজেলায় এবার ১১শত ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। তবে শেষ বন্যায় প্রায় ২শত হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। আবহাওয়া শুস্ক থাকায় এবার বাদাম চাষ ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাদামের দামও ভালো। কৃষকরা এবার বাদামে লাভবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন বলেন চরাঞ্চলে ব্যাপক বাদামের চাষ হয়েছে। ফলনও অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো।