নওগাঁর সদর উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলীর হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ আবদুল মজিদ (৬০) নামে বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার পূর্বরাত ২ টার দিকে নিজ বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও আহত হয়েছিলেন তার দুই সহোদর কাবিল হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম (৪৫)। নিহত আবদুল মজিদ ও আহতরা ইয়াদ আলীর মোড় এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
সেই সময় প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১০ টার দিকে তিন সহোদর আবদুল মজিদ, কাবিল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম দোকান বন্ধ করে ইয়াদ আলীর মোড়ে আবদুল মজিদের গোস্তের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ৪ থেকে ৫ জন মোটরসাইকেল যোগে এসে পিস্তল দিয়ে গুলি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১টি পিস্তল ও ১টি মোটরসাইকেল জনগণের চাপের মুখে পড়ে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসলপাতালে ভর্তি করে দেন। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর (রেফার্ট) করেন । সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার কর্তবরত চিকিৎসক তার স্বজনদের জানান, আবদুল মজিদকে সুস্থ্য করা আর সম্ভব নয়। আপনারা তাঁকে বাসায় নিয়ে যান। বাসায় নিয়ে আসার পর আজ রাত ২ টার দিকে তাোর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার বিষয়ে ইতিপূর্বে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই মামলায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। ভিকটিম মৃত্যু বরণ করায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।