রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের রাজনৈতিক দখল বাজিতে সেচ পাচ্ছে না কৃষকরা, কয়েক গ্রুপে বিভক্তির কারনে ফসল হানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির হাতিশাইল ও বিহারইল গ্রামে ঘটেছে পৃথক পৃথক ঘটনা এবং মারপিটও হয়। সদ্য রোপনকৃত বীজ আলু রোপন করে গভীর নলকূপ থেকে সেচ পায়নি বিএনপির এক গ্রুপের কৃষক। প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুর রহিম নামের আলু বীজ চাষী। বিবাদী করা হয়েছে বিহারৈল গ্রামের পিন্টু ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নান কে।
মঙ্গলবার সকালের দিকে বিএনপির এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাতিশাইল গ্রামে গভীর নলকূপের দখল সেচ নিয়ে মারপিট হয়েছে। থানায় অভিযোগ হয়েছে। মার খাওয়া ব্যক্তির একজন সদ্য রোপনকৃত আলুর জমিতে শেলো মেশিনে সেচ দিবেন। কিন্তু মিজান নামের একজন বাঁধা দেয়। মিজান দাপটের সাথে বলছে চারটি গভীর নলকূপ দখল করেছি। এটা কোন জবরদস্তি। অপারেটর নিয়োগ হয়নি। প্রায় গভীর নলকূপ দলের লোকজন দখলে নিয়ে নিয়ম শৃঙ্খলা ভাবে পরিচালনা করছেন না। কারন স্বৈরাচারের লোকজন কৃষকদের উপর জুলুম করেছে। একই কায়দা শুরু করেছেন দখলবাজ নামধারী নেতারা। অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত যদি বিশৃঙ্খলা হয় তাহলে তো ফসলহানি হবে। বিশেষ করে বিএমডিএ একেবারেই গা ছেড়ে বসে আছে। এভাবে চলতে পারেনা। দলীয় হস্তক্ষেপে হোক কিংবা বিএমডিএর হস্তক্ষেপে হোক সেচে যেন বিঘ্ন না ঘটে।
মঙ্গলবার উপজেলার কামারগাঁ ইউপির বিহারৈল গ্রামের আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি উপায় না পেয়ে নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিহারৈল মৌজার অন্তর্গত জেএল নম্বর ২৪৩ দাগ নম্বর ৭৭৮ গভীর নলকূপ রয়েছে। নলকূপ টি বিহারৈল গ্রামের তসলিম উদ্দিনের পুত্র পিন্ট ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নান জবরদখল করে সেচ দিচ্ছে। ওই স্কীমে বাদী আব্দুর রহিম তিন বিঘা জমিতে আলুর বীজ রোপণ করেছেন। কিন্তু জমিতে সেচের প্রয়োজন হলেও পিন্টু মান্নানরা বিএনপির অন্য গ্রুপের লোক বলে সেচ দিচ্ছে না। দ্রুত সেচ না দিলে রোপনকৃত বীজ নষ্ট হবে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিন্টু মান্নান জানান, সে সেচের পানির কথা বলেই নি।
বীজ আলু চাষী রহিম জানান, একাধিক বার বলার পরেও সেচ দেয়নি। না দেয়ার কারনেই তো অভিযোগ দিয়েছি। সেচ পেলে তো অভিযোগ দিতাম না। এখন সেচ দিলেও কাঙ্খিত বীজের ফলন হবে না।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) জামিলুর রহমান জানান অভিযোগের কপি এখনো পায়নি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।