ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি । তবে ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে সংস্থার অপরাধ মিলিয়ে ফেলবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো সংস্থা নিষিদ্ধের কোনো আলোচনা সরকারের মধ্যে হয়নি। ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে সংস্থার অপরাধ আমরা মিলিয়ে ফেলব না। সবকিছু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হচ্ছে। যে কোনো বিষয়েই রাস্তায় না নামার প্রয়োজন নেই।
হাসনাত এবং সারজিসের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সমন্বয়কদের ওপর হামলার বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সমন্বয়করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের বিবেককে যেভাবে জাগ্রত করছেন, এটা নিশ্চয়ই অনেকের স্বার্থে লাগবে। তাদের নিরাপত্তা বিষয়টি কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। তাদের যে নিরাপত্তার প্রয়োজন, এটা আলোচিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশের কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। সবাইকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়ত আপনার দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ন্যায্য দাবিও পূরণ করতে পারবেন না। আজকে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা সবাইকে বলবো, এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্ল্যাটফর্মে আছে। কিন্তু ধংসাত্মক প্রক্রিয়া বেছে নিলে কারও কোনো লাভ হবে না।
এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
নির্বাচনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সংস্কারের পরই নির্বাচন দেওয়া। তবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত আসবে।