সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম নীতি না মেনেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ মিল কারখানা। জনবসতি এলাকা, স্কুল ও তিন ফসলি জমির পাশেই গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের অটো রাইস মিল। ফলে এ সকল মিলের কালো ধোয়া, বর্জ ও উড়ন্ত ছাইয়ের কারনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে এখানকার পরিবেশ। আবার অনেকে নিয়মের ব্যপ্ত করে ছাড়পত্র আনলেও তোয়াক্কা করছেন না পরিবেশের কোন নীতিমালা। আর ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার অভিযোগ করেও মিলছে না কেনো প্রতিকার। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বলছেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে জানাগেছে,সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকায় তিন ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে ঘনবসতি এলাকায় ও স্কুলের পাশেই অবৈধ ভাবে নতুন নতুন অটো রাইস মিল স্থাপন করছে কিছু বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী মহলের নেতারা। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম কানুন না মেনেই ফসলি জমির পাশে মিল কারখানা হওয়ায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ও মিলের নির্গত ধোঁয়া, বর্জ ও উড়ন্ত ছাইয়ে নিকটবর্তী গাছপালা কৃষকের জমিতে পাকা ধান সকল ফসলের ক্ষতিসহ নষ্ট হচ্ছে এই এলাকার পরিবেশ। স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি শিক্ষা ও এলাকার বসত বাড়ি গুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীল নেতা আব্দুল হান্নানের ছত্র ছায়ায় এসকল ব্যবসায়িরা পসলি জমিতে জোর করে বর্জ ফেলাসহ এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করেছে।
এদিকে একাধিক মিলের মাঝখানে প্রতিষ্ঠিত চান্দাইকোনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের অভিভাবকগন জানান,ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা বিঘিœত হওয়ায় বার বার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ স্বীকার করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও রিয়া অটো মিলস মালিক এসএম প্রিন্স বাবু সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ করে বলেন,আসলে সব নিয়ম আমার মানা হয়নি তবে আমি দ্রুতই সব ঠিক করে নেবো ।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান,এই সব মিলের কালো ধোয়া ছাই ও বর্জ পানির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ আমরা তদন্ত করে প্রতিবেন জমা দিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
চালকল ও পরিবেশ নিয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, অটো রাইস মিলের কারনে যে ক্ষতিকর প্রভাব পরেছে আমি তা পরিদর্শন করে দেখেছি এবং সত্যতা পেয়েছি। ইতোমধ্যে মিল মালিকদের বিরুদ্ধে সংষিøষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি মনে করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ এর সহকারি পরিচালক মো: আব্দুল গফুর বলেন,অটো রাইস মিল সহ অবৈধ মিলকারখানা গুলোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । ইতোমধ্যে কয়েকটি মিলের বিরুদ্ধে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব মিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সকল সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এলাকাবাসীর।