Dhaka ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈরে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আর স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব।

এলাকাবাসী, কৃষক-শ্রমিক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করে কৃষক। এর মধ্যে উপজেলা উত্তরাঞ্চলের চাপাইর ও ফলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সবচেয়ে বেশি আমন ধান রোপন করা হয়েছে। এবার ১৭ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন আশা করছে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমন ফলন হয়নি।

এবার মাঠের পর মাঠ জুড়ে সোনালি আমন ধান দোলছে, ফলছে আমনের বাম্পার ফলন। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর তাদের তেমন সহযোগিতা করেনি। ওই অফিসের সহযোগীতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আমন ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজ চলছে পুরোদমে। এরই মধ্যে প্রায় ৩৪ থেকে ৪০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। এভাবে ধান কেটে মাড়াই শেষে রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলবেন কৃষকরা। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাটা ও মাড়াই শেষে ধান গোলায় উঠানোর পর কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য চিরচেনা নবান্নের উৎসব।

উপজেলার ডুলিগড়া এলাকার কৃষাণী স্বরসতী রানী বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। ধান কেটে রোদে শুকিয়ে ধান গোলায় তোলা হচ্ছে। কৃষক শ্রী রবিন্দ্র বলেন, এবার আমি চার বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রাজু বলেন, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাটা ও মাড়াই শেষে ধান গোলায় উঠানোর পর কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য চিরচেনা নবান্নের উৎসব। তবে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা পেলে আরও ধানের ফলন ভাল হতো বলে জানিয়েছেন সাধারন কৃষকরা। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে এখানে ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ

বছর ফলন ভালো হয়েছে। ফলে প্রায় ১৭ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন আশা করা হচ্ছে। তবে কৃষকদের অসযোগিতার অভিযোগটি অস্বীকার করে ওই কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক যদি যোগাযোগ না করে আমরা কিভাবে সহযোগিতা করবো? আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাদের সহযোগীতা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি

কালিয়াকৈরে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

Update Time : ০৩:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আর স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব।

এলাকাবাসী, কৃষক-শ্রমিক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করে কৃষক। এর মধ্যে উপজেলা উত্তরাঞ্চলের চাপাইর ও ফলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সবচেয়ে বেশি আমন ধান রোপন করা হয়েছে। এবার ১৭ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন আশা করছে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমন ফলন হয়নি।

এবার মাঠের পর মাঠ জুড়ে সোনালি আমন ধান দোলছে, ফলছে আমনের বাম্পার ফলন। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর তাদের তেমন সহযোগিতা করেনি। ওই অফিসের সহযোগীতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আমন ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজ চলছে পুরোদমে। এরই মধ্যে প্রায় ৩৪ থেকে ৪০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। এভাবে ধান কেটে মাড়াই শেষে রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলবেন কৃষকরা। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাটা ও মাড়াই শেষে ধান গোলায় উঠানোর পর কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য চিরচেনা নবান্নের উৎসব।

উপজেলার ডুলিগড়া এলাকার কৃষাণী স্বরসতী রানী বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। ধান কেটে রোদে শুকিয়ে ধান গোলায় তোলা হচ্ছে। কৃষক শ্রী রবিন্দ্র বলেন, এবার আমি চার বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রাজু বলেন, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাটা ও মাড়াই শেষে ধান গোলায় উঠানোর পর কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য চিরচেনা নবান্নের উৎসব। তবে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা পেলে আরও ধানের ফলন ভাল হতো বলে জানিয়েছেন সাধারন কৃষকরা। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে এখানে ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ

বছর ফলন ভালো হয়েছে। ফলে প্রায় ১৭ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন আশা করা হচ্ছে। তবে কৃষকদের অসযোগিতার অভিযোগটি অস্বীকার করে ওই কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক যদি যোগাযোগ না করে আমরা কিভাবে সহযোগিতা করবো? আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাদের সহযোগীতা করা হবে।