প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মনে করেন, আওয়ামী লীগ বিগত চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে অর্থনৈতিক খাতে যে লুটপাট করেছে এর একটি শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে। এই শ্বৈতপত্রটির মাধ্যমে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এই চিত্র পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর জন্য পাঠ্যবইয়ে এই লুটপাটের কথা থাকা উচিত বলে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বের কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন দেখে প্রধান উপদেষ্টা অবাক হয়েছেন। যে লুটপাট হয়েছে তা শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো। এটা টেক্সটবুকে থাকা উচিত। এ টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা একটা ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট। এটা সবাইকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শ্বেতপত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি তিন মাসের একটি রিপোর্ট। এ পর্যন্ত যে ডেটা পাওয়া গেছে সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এটা আরও আপডেট হবে। কীভাবে দেশের টাকা লুটপাট হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে হবে।
শফিকুল আলম বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সর্বোচ্চভাবে টাকা ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব। গত ১৫ বছরে যা হয়েছে তার বিচার করা এই অন্তর্র্বতী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।
লুটপাটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিজের নির্বাচনি এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী নদীতে টানেল করেছেন। এখন এটা কেউ ব্যবহার করছে না। এভাবে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় করেছেন তারা। টাকাটা কীভাবে বাইরে চলে গেছে তার একটা স্পষ্ট চিত্র থাকবে শ্বেতপত্রে।