ভোলায় দেড় যুগেও সংস্কারের ছোয়া লাগেনি এক সেতুতে। বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে চলাচল অনেকটা অনুপযোগী। জীবনের ঝুকি নিয়েই বাধ্য হয়ে ওই এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ লোকজন চলাচল করতে হচ্ছে। বলছিলাম ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাতা ভেদুরিয়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের এক সেতুর কথা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাতা ভেদুরিয়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে এই খালটির ওপর প্রায় দেড় যুগ আগে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ৫-৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই সেতুর নিচের একটি স্পেন দেবে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ সেতুটি নির্মাণের সময় অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই সেতুর বেশ কিছু অংশও দেবে গিয়ে নীচের দিকে বসে গেছে। এছাড়া সেতুর পাশের সে বাউন্ডারীগুলো থাকে সেগুলোও বেশ একটি বড় অংশ জুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সেতুটির অর্থেক থেকে বাকি অংশ বলা চলে প্রায় অরক্ষিত। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় রেখেই ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে এখানকার মানুষ। যার ফলশ্রুতিতে সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হোসেন জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। একই গ্রামের সাহেব আলী বলেন, আমাদের ২-৩ ইউনিয়নের প্রায় ৬-৭ হাজার লোক এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটি বর্তমানে এমন অবস্থা যে, এই এলাকার কোনো লোক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে নিবে তারও কোন ব্যবস্থা নেই। সেতু পাড় হয়ে এপারে এসে তারপর এ্যাম্বুলেন্সে উঠতে হয়। যা মানুষের জন্য সীমাহিন দুর্ভোগ। তাছাড়া এই সেতু দিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার কোমলমতি শিশুরা চলাচল করে। তারাও ঝুঁিক নিয়েই চলাচল করে। তাদের পররিবাররা চিন্তাগ্রস্ত থাকেন, কখন কি না কি ঘটে যায়। অরক্ষিত ও চলাচল অনুপযোগী সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর যাবৎ শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।
এলজিইডি ভোলা অফিস সুত্রে জানা যায়, এ সেতুটি ২০০৪ অর্থ বছরে আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে একটি স্পেন দেবে যাওয়ায় তা রক্ষনা-বেক্ষণের জন্য এলজিইডি রক্ষণা-বেক্ষণ প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে অনুমোদন না হওয়ায় সেতুটি সংস্কার করা যাচ্ছে না। দ্রুত অনুমোদন পেলে সেতুটি সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন তারা।