Dhaka ১০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুটমিলস্ পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ঐতিহ্যবাহী জাতীয় জুটমিল পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দরা।

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দি‌কে পৌর এলাকার রায়পুরস্থ জাতীয় জুটমিলে এ    মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় জুটমিলসহ সারা দেশের পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

মানববন্ধন ও সমাবেশটি কওমী মজদুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

মানববন্ধন ও সমাবেশে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সারাদেশে প্রথমে যে কয়েকটি জুটমিল চালু করার জন‌্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে তার মধ্যে যদি সিরাজগঞ্জের বন্ধ হওয়া জাতীয় কওমী জুটমিলটি চালু করা না হয় তাহলে বেকার হওয়া শ্রমিকদের নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করবো। তবে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা, কিন্তু এর বাইরে আমাদের কোনো উপায় থাকবেনা। আমাদের দাবি, সরকার যে ৪/৫ টি বন্ধ করা জুটমিলটি চালু করার কথা বলছেন বা শুনেছি তার মধ্যে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় জুট মিলস্ টি অবশ্যই  থাকতে হবে এবং চালু করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ কৃষিনির্ভর জেলা ব্যাপক পাট উৎপাদনে অন্যতম। আজ জাতীয় কওমী জুট মিল টি বন্ধ থাকার কারণে কৃষকেরা পাটের ন্যায্য মূল্য পায়না। এই জুটমিলস টি পুনরায় চালুর দাবি নিয়ে আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের লুটেরা এ মিলটি লুটপাট করে ধ্বংস করে দিয়েছে।

জুট মিল বন্ধ করার কারণে শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের বেশিরভাগ আবার এখন জীবিকার জন্য রিকশা চালায়। যার ফলে ছোট শহরে এখন রিকশা বেড়ে গেছে, যার কারনে এই শহরে বেড়েছে যানজট। জুটমিলের অনেক শ্রমিকদের পাওনা বেতন দেওয়া হয়নি। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর পাট উপদেষ্টার কাছে দাবি জানাব, তাদের বকেয়া বেতন গুলো দিয়ে দেওয়ার জন্য। এতে তাদের পরিবারগুলো অনেক উপকৃত হবে।

এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন, জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জেলা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ শেখসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুটমিলস্ পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Update Time : ০২:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ঐতিহ্যবাহী জাতীয় জুটমিল পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দরা।

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দি‌কে পৌর এলাকার রায়পুরস্থ জাতীয় জুটমিলে এ    মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় জুটমিলসহ সারা দেশের পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

মানববন্ধন ও সমাবেশটি কওমী মজদুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

মানববন্ধন ও সমাবেশে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সারাদেশে প্রথমে যে কয়েকটি জুটমিল চালু করার জন‌্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে তার মধ্যে যদি সিরাজগঞ্জের বন্ধ হওয়া জাতীয় কওমী জুটমিলটি চালু করা না হয় তাহলে বেকার হওয়া শ্রমিকদের নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করবো। তবে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা, কিন্তু এর বাইরে আমাদের কোনো উপায় থাকবেনা। আমাদের দাবি, সরকার যে ৪/৫ টি বন্ধ করা জুটমিলটি চালু করার কথা বলছেন বা শুনেছি তার মধ্যে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় জুট মিলস্ টি অবশ্যই  থাকতে হবে এবং চালু করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ কৃষিনির্ভর জেলা ব্যাপক পাট উৎপাদনে অন্যতম। আজ জাতীয় কওমী জুট মিল টি বন্ধ থাকার কারণে কৃষকেরা পাটের ন্যায্য মূল্য পায়না। এই জুটমিলস টি পুনরায় চালুর দাবি নিয়ে আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের লুটেরা এ মিলটি লুটপাট করে ধ্বংস করে দিয়েছে।

জুট মিল বন্ধ করার কারণে শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের বেশিরভাগ আবার এখন জীবিকার জন্য রিকশা চালায়। যার ফলে ছোট শহরে এখন রিকশা বেড়ে গেছে, যার কারনে এই শহরে বেড়েছে যানজট। জুটমিলের অনেক শ্রমিকদের পাওনা বেতন দেওয়া হয়নি। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর পাট উপদেষ্টার কাছে দাবি জানাব, তাদের বকেয়া বেতন গুলো দিয়ে দেওয়ার জন্য। এতে তাদের পরিবারগুলো অনেক উপকৃত হবে।

এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন, জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জেলা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ শেখসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।