সীমানা প্রাচীর না থাকা এবং মাসের পর মাস দেখাশুনার অভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সৈয়দপুর শহরের প্রায় সব কটি শহীদ মিনার। সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জংগলে ভরা আর অন্যান্য শহীদ মিনার সংলগ্ন ফেলা হচ্ছে নোংরা আবর্জনা। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির চার পাশ দখলমুক্ত থাকলেও শহরের প্রায় শহীদ মিনারের চারপাশ দখলদারদের দখলে চলে গেছে। সে কারণে আশপাশে বসবাসকারীরা শহীদ মিনার সংলগ্ন আবর্জনা স্তূপ করায় পরিবেশও নোংরা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ২/৩ দিন আগে সামান্য ধোয়া-মোছা আর রং করার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে শহীদ মিনারের দেখভাল কাজ। মাতৃভাষা দিবসের একদিন শহীদ মিনারকে সম্মান দেখানো হলেও বছরের বাকি সময় আর কেউই খোঁজ খবর রাখেন না শহীদ মিনারের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মাঠের পুরোটাই জংগলে ভরা। মাদক সেবন কারিরা সন্ধ্যার পর সেখানে মাদকের আখরা বসায়। গভীর রাতে শহীদ মিনারের পিছন পাশে নোংরা মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করারও অভিযোগ অনেকের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাতিখানা রাজ্জাকিয়া স্কুল সংলগ্ন অনেকেই বলেন,সেখানকার শহীদ মিনারে,দিনে বা রাতের বেলা মাদকসেবীদের আড্ডা জমে এবং সেখান থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা হয় । এরা প্রভাবশালীদের আর্শীবাদপুষ্ট হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহসও পায় না। শহীদ মিনারে সীমানা প্রাচীর থাকলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মত প্রকাশ করেন অনেকে।
স্থানীয় শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মিলন বলেন, শহীদ মিনার হলো আমাদের ইতিহাস ও ঐহিত্যের প্রতীক। তাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান রক্ষার্থে এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রয়োজন। এর জন্য যা যা করার দরকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তাই করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা পৌর প্রশাসক নুর- ই আলম সিদ্দিক বলেন, শহীদ মিনারের সৌন্দর্যবর্ধন ও সীমানা প্রাচীরের পরিকল্পনা আছে। খুব শিগগির শহরের সকল শহীদ মিনারে দেয়াল দিয়ে ঘিরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।