ভারতীয় আগ্রাসন, উগ্রতা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়ত সৈয়দপুরের ডাকে ওই বিক্ষোভে সমাবেশে হাজার হাজার জনতা অংশগ্রহন করে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা শহরের জিআরপি চত্ত্বর থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে ওই বিক্ষোভ মিছিলে যোগদান করতে শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুমা নামাজের পর খন্ড খন্ড মিছিল করে সর্বস্তরের আলেম সমাজসহ সকল মত আক্বীদার ধর্মপ্রাণরা ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরাও দলে দলে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় হাজার হাজার জনতা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয়দের মিথ্যাচার, আগ্রাসন, আজমের শরীফের খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.) এর দরগাহ নিয়ে ষড়যন্ত্র, ত্রিপুরা বাংলাদেশ দুতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা, ইসকন কর্তৃক চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাতের খলিফা আসিফ আশরাফী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, আহলে সুন্নাতের খালিদ আজম, মাওলানা শাহিদ রেজা রিজভী, মোমিনুল ইসলাম রিজভী, আল-ফারুক একাডেমীর শিক্ষক সাহবাজ উদ্দিন সবুজ, মাওলানা ইমরান হাবিব আশরাফী, মাওলানা সাবির হোসেন রিজভী, মাওলানা গোলাম কাদের হিরা আশরাফী, শামস চুন, শেখ কুতুব উদ্দিন, শাহিদ কাদেরী, হায়দার এমাদী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন, শাম্মু আশরাফী, রাকিব খান এমাদী, সৈয়্যদ পাপ্পু বাখশি, নাদিম আশরাফী, আশরাফসহ আহলে সুন্নাতের অন্যান্য আলেমবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপত্বি করেন জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আলহাজ্ব গুলজার আশরাফী।
বক্তারা বলেন, তাঁদের দেশে আমাদের দুতাবাসে হামলা করা হয়েছে, পতাকা পুড়ানো হয়েছে। এর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা আরও বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা গণঅভ্যুত্থানের পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। আমরা হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নয়, অযথা মিথ্যা রটিয়ে হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী না করার জন্য ভারতকে হুশিয়ার করেন আহলে সুন্নাতের নেতৃবৃন্দ।