ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইমন (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পরাণগঞ্জ বাজার চত্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইমন সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মীর বাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন প্রবাসী মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় পরাণগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ছিল। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাইন পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইমন শখ করে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এবং সে মোটরসাইকেল ভালোমতো চালাতেও পারত না।
প্রত্যক্ষদর্শী নাহিদ ইসলাম আসিফ, মাসুদ রানা এবং আরিফুল ইসলামসহ আরো অনেকে জানান, ইমন একটি ডিসকাভার মোটরসাইকেল চালিয়ে ভেদুরিয়া রোড থেকে পরাণগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পরাণগঞ্জ বাজার চত্বরে গিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এসময় ইমন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে পাশ দিয়ে যাওয়া চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ট্রাক চালক ও সহকারী ঘটনাস্থলে ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যায়।
পথচারীরা জানান, ইমনের মোটরসাইকেলের গতি ছিল অনিয়ন্ত্রিত এবং সে ভালোমতো গাড়ি চালাতে পারত না। গাড়ি চালানোর সময় তার শরীর কাঁপা-কাঁপি করছিল। অনিয়ন্ত্রিত গতি থাকার কারণে অটোরিকশার সঙ্গে হাল্কা ধাক্কা খেয়ে সে সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে ছিটকে পড়েন।
ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক উল্লেখ করে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, ইমনের মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ রয়েছে। পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ইমন গত ১৯ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোটরসাইকেলের ছবি দিয়ে পোষ্ট করেছিল “এগুলো বাইক নয়, আমাদের ইমোশন”। আর সেই ইমোশনেই কেড়ে নিল তার প্রাণ। এদিকে তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্বজনরা। তাদের ডাক চিৎকারে ঘটনাস্থলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।