Dhaka ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সিরাজগঞ্জের সনাতনীরা

সিরাজগঞ্জের ৯ টি উপজেলার সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো ভালো আছে, নিরাপদে আছেন। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী- অদ্যবধি পর্যন্ত- জেলার কোথাও কোন সনাতনী পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়নি।ভাংচুর হয়নি কোন মন্দির সহ অন্য ধর্মের উপাসনালয়।সিরাগঞ্জের ৯টি উপজেলার মধ্যে শাহজাদপুর, তারাশ

রায়গঞ্জ, সদর ও কাজিপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস উল্লেখযোগ্য হওয়াতে সেখানে তাদের জীবন চলছে  স্বাভাবিক।  সম্প্রতি সময়ে ভারতীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে বাংলাদেশের সনাতনীদের নির্যাতনের সংবাদ যেভাবে প্রচার ও প্রকাশ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে – তাতে অনেকেই বিস্মিত।

সিরাজগঞ্জ শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী সুমন সাহা গৌড় বলেন, ভারতীয় মিডিয়া তিলকে তাল- বানাচ্ছে। আমরা ভালো আছি। তবে দ্রব্য মূল্যের বিষয়টি সরকার নিয়ন্ত্রন করলে আরো ভালো থাকবো। জুয়েলারি কর্মকার পিন্টু জানান,দেশের অভ্যুত্থানের পর মন্দিরে  মুসলমানরা পাহাড়া দিয়েছে। যা অতিতে কখনও হয়নি।

সিরাজগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান  ঐক্য পরিষদ সেক্রেটারী নরেশ চন্দ্র ভৌমিক বলেন আমি মনে করি ভালো আছি। নিরাপদে আছি ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক ভাবে কোন চাপ বা সমস্যাতে নেই। তবে অন্য কেউ আছে কিনা সেটা বলতে পারবোনা। আমার সংগঠন জেলার ৯টি উপজেলায় আছে। এখনও তারা ভালো আছে। ৮ দফা দাবীতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছিত যথা নিয়মে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পূঁজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু জানান, গত ৫ আগস্ট পর জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা –  ঘটেনি। মন্দির থেকে শুরু করে কারো বাড়ী ঘর ভাংচুর হয়নি। ভারতীয় গনমাধ্যম বিষয়ে  তিনি বলের বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে ভারতের মিডিয়াতে হচ্ছে তা অতি বাড়াবাড়ি আমরা সৌহাদ্য এবং সম্প্রতিতে বিশ্বাসী আমরা সেই সম্প্রীতি ভালোবাসা নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই । আমারা এখনও ভালো আছি,ভবিষ্যতেও ভালো থাকবো।

অপরদিকে সনাতনীরা ভালো থাকলেও অনেকে গোপন  ডোনেশন, চাঁদাবাজী আতংকে আছেন বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। তাদের মতে অনেক ব্যবসায়ী আগের চেয়ে ব্যাবসার আকার বড় না করে বরং ছোট করে ব্যবসার চালিয়ে যাচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ

ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সিরাজগঞ্জের সনাতনীরা

Update Time : ১০:০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জের ৯ টি উপজেলার সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো ভালো আছে, নিরাপদে আছেন। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী- অদ্যবধি পর্যন্ত- জেলার কোথাও কোন সনাতনী পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়নি।ভাংচুর হয়নি কোন মন্দির সহ অন্য ধর্মের উপাসনালয়।সিরাগঞ্জের ৯টি উপজেলার মধ্যে শাহজাদপুর, তারাশ

রায়গঞ্জ, সদর ও কাজিপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস উল্লেখযোগ্য হওয়াতে সেখানে তাদের জীবন চলছে  স্বাভাবিক।  সম্প্রতি সময়ে ভারতীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে বাংলাদেশের সনাতনীদের নির্যাতনের সংবাদ যেভাবে প্রচার ও প্রকাশ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে – তাতে অনেকেই বিস্মিত।

সিরাজগঞ্জ শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী সুমন সাহা গৌড় বলেন, ভারতীয় মিডিয়া তিলকে তাল- বানাচ্ছে। আমরা ভালো আছি। তবে দ্রব্য মূল্যের বিষয়টি সরকার নিয়ন্ত্রন করলে আরো ভালো থাকবো। জুয়েলারি কর্মকার পিন্টু জানান,দেশের অভ্যুত্থানের পর মন্দিরে  মুসলমানরা পাহাড়া দিয়েছে। যা অতিতে কখনও হয়নি।

সিরাজগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান  ঐক্য পরিষদ সেক্রেটারী নরেশ চন্দ্র ভৌমিক বলেন আমি মনে করি ভালো আছি। নিরাপদে আছি ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক ভাবে কোন চাপ বা সমস্যাতে নেই। তবে অন্য কেউ আছে কিনা সেটা বলতে পারবোনা। আমার সংগঠন জেলার ৯টি উপজেলায় আছে। এখনও তারা ভালো আছে। ৮ দফা দাবীতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছিত যথা নিয়মে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পূঁজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু জানান, গত ৫ আগস্ট পর জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা –  ঘটেনি। মন্দির থেকে শুরু করে কারো বাড়ী ঘর ভাংচুর হয়নি। ভারতীয় গনমাধ্যম বিষয়ে  তিনি বলের বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে ভারতের মিডিয়াতে হচ্ছে তা অতি বাড়াবাড়ি আমরা সৌহাদ্য এবং সম্প্রতিতে বিশ্বাসী আমরা সেই সম্প্রীতি ভালোবাসা নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই । আমারা এখনও ভালো আছি,ভবিষ্যতেও ভালো থাকবো।

অপরদিকে সনাতনীরা ভালো থাকলেও অনেকে গোপন  ডোনেশন, চাঁদাবাজী আতংকে আছেন বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। তাদের মতে অনেক ব্যবসায়ী আগের চেয়ে ব্যাবসার আকার বড় না করে বরং ছোট করে ব্যবসার চালিয়ে যাচ্ছেন।