৯ ডিসেম্বর ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ–সম্পর্কিত নানাবিধ বিষয়ে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারত–বাংলাদেশের ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ (এফওসি) আলোচনায় যোগ দিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করবেন। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, এফওসির বৈঠক ‘স্ট্রাকচার্ড’ বা কাঠামোগত। সেখানে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পারস্পরিক স্বার্থ–সম্পর্কিত নানান বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। ঢাকা থাকাকালীন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিক্রম মিশ্রির বৈঠক হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু জানাননি। জয়সওয়াল বলেন, এফওসির বৈঠক ছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিবের আলোচনা হবে। সেই সব বৈঠক চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রসচিব হওয়ার পর বিক্রম মিশ্রির এটাই হতে চলেছে প্রথম বাংলাদেশ সফর। এমন একটা সময়ে তিনি সে দেশে যাচ্ছেন, যখন দুই দেশের সম্পর্ক অন্য খাতে বইছে। রাজনৈতিক পালাবদলের পর সে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশ মনে করে, হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের অভিযোগ অতিরঞ্জিত। ভারতের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দল তা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে ইসকন থেকে বিতাড়িত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কারাবাস সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, ভারত আগেও আইনি অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কথা বলেছে। এখনো তাই বলছে। ভারত আশা করে বিচার যথার্থ হবে। স্বচ্ছ হবে। তিনি সুবিচার পাবেন।