সৈয়দপুরে রাত থেকে ঘন কুয়াশা। বৃষ্টির মতো কুয়াশায় প্রতিটি গাড়িই চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শিতল হাওয়ায় গাড়ির গতিও রয়েছে অনেক কম। শহর সহ উপজেলার চারদিক শীতে জবুথবু মানুষ। অবতরন করতে পারে নি ২ টি বিমান।শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত সৈয়দপুরের একাধিক এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। সূর্যের দেখা মেলেনি সকাল প্রায় সারে ৯ টা পর্যন্ত । হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা উত্তরের ঠান্ডা হাওয়াও বইছে। রবিবার সরকারি ছুটির দিন না হলেও চাকরিজীবী লোকজন ছাড়া জনসাধারণদের খুব একটা ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। তবে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা লোকজনকে সাইকেলে করে দূরদূরান্ত থেকে শহরে আসতে দেখা যায়। গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন তাঁরা। মহাসড়কের বোতলাগাড়ি এলাকা, কুন্দলের রাবেয়া ফ্লাওয়ার মিল এলাকা সহ আরও কিছু এলাকায় দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস-ট্রাক হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে গাড়ির গতি ছিল একেবারেই কম। সতর্কতার সাথে গাড়িগুলো চলাচল করছে। শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দিনাজপুর গামী বাস চালক মজনু মিয়াঁ বলেন, এই ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর। খুব সাবধানের সাথে আস্তে আস্তে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দিনাজপুর যেতে যেখানে এক ঘণ্টা লাগার কথা, সেখানে এভাবে গাড়ী চললে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
শহরের নীল সাগর মোর থেকে পার্বতীপুর সড়কে দেখা যায়, রাস্তার এক পাশ দিয়ে কুয়াশার মধ্যে বাইসাইকেলে চড়ে দোকান কর্মচারীরা ছুটে যাচ্ছেন তাঁদের কর্মস্থলে। ওই সময় কথা হয় শাইল্যা মোড় এলাকার মুদি দোকানদার তালেবের সাথে, তিনি জানান, গতদিনের চেয়ে আজ অনেক বেশি কুয়াশা পড়েছে। ৩/৪ ফুট সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে সকাল সার ৬টায় সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস রয়েছে। এ কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার এ কে এম বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বলেন, সকাল ৮,৪৫ মিনিটে বেসরকারি বিমান নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাষ্টার বিমান নামতে পারে নি।কারন,বিমান অবতরনের সময় সামনের ২০০ মিটার ও ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে না। আকাশ পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে না।