অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পানিয় জলের সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের গাংনীর ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। এমনকি লাশ দাফনের জন্যও কোন কবরস্থান নেই বাসিন্দাদের জন্য। দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যা বিরাজ করলেও আজো মেলেনি সমাধান। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে আবাসনের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবেন তিনি।
জানা গেছে, গাংনী ভাটপাড়া নীলকুঠি এলাকায় ২০০২ সালে ছিন্নমুল মানুষের জন্য নির্মাণ করা হয় আবাসন প্রকল্প। ৯০ টি পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয় সেখানে। আশ্রয় নেয় দিনমজুর ও ভিক্ষুকরা। ৯০টি পরিবারে বর্তমানে অন্তত ছয় শতাধিক লোকের বসবাস। আবাসনে নেই শিক্ষা, চিকিৎসার সু ব্যাবস্থা। একটি মক্তব আছে তাও চলে না চলার মতকরে। কবরস্থান না থাকায় অন্য গ্রামের লাশ দাফন করতে গিয়েও পড়তে নানা ঝামেলায়। ভাঙ্গা চোরা রাস্তা, নেই সুপেয় পানিয় জলের ব্যাবস্থা। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। এসব সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা চান আবাসনের বাসিন্দারা।
আবাসনের বাসিন্দা আকমল জানান, বৃষ্টি হলে ঘরে থাকা যায়না। ছোট ঘরে সন্তানদের নিয়ে থাকা কষ্ট। মেয়ে জামাই ছেলে বৌ নিয়ে থাকার পরিবেশ নেই। টিন ফুটো হয়ে পানি পড়ে। ২০০১ সালে ঘর নির্মানের পর আর সংস্কার করা হয়নি। কাঁদাপানিতে পরিবেশ অসাস্থ্য কর হয়ে পড়েছে। এছাড়া অর্থ সম্পদ না থাকায় বাসস্থানের পরিবেশ না থাকলেও বাধ্য হয়ে এখানে বসবাস করতে হচ্ছে। একই কথা জানালেন গৃহবধু সালমা ও রইছন নেছা।
এদিকে ঘরগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানালেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অীফসার প্রীতম সাহা। তিনি জানান, আবাসনের জন্য আজো বরাদ্দ মেলেনি। বিষয়টি সরেজমিনে দেখে ঘরগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।