যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে এস গোষ্ঠীর স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে। আসাদের পতনকে সিরিয়ানদের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
একইসঙ্গে এই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দেশ পুনর্গঠনের জন্য সিরিয়ানদের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন,সরকারের পতন একটি মৌলিক ন্যায় বিচাররের কাজ ছিল। সিরীয় জনগণ, যারা অনেক দুর্ভোগ সহ্য করেছে, তাদের জন্য এটা এক ঐতিহাসিক সুযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পূর্ণ প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আবির্ভাব যেন না হয়, সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন সজাগ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন,ওয়াশিংটন সিরিয়ানদের পুনর্গঠনের জন্য সহায়তা করবে। তিনি বলেন,আমরা জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার মধ্যে আসাদ সরকার থেকে দূরে নতুন সংবিধানসহ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম সিরিয়া গড়ার লক্ষ্যে সকল সিরীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।
এদিকে আসাদের পতনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বাশারের পতন হিজবুল্লাহ ও ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের ‘সরাসরি ফলাফল’ বলে দাবি করেন তিনি।
ফক্স নিউজ ও টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এক ভিডিওবার্তায় বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের অন্যতম একটি দিন। ইরানের অক্ষের কেন্দ্রে থাকা বাশার আল-আসাদ এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়েছে। ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আমরা যে অভিযান পরিচালনা করেছি, তার সরাসরি ফলাফল বাশারের পতন। কারণ এরাই তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মূল সমর্থক ছিল।