৫ আগষ্টের পর থেকে পুলিশ প্রশাসন তৎপর না থাকয় নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩০ টিরও বেশি স্থানে অনলাইনে জুয়া ও ভিসা প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কর্মকান্ডে ভ্যান চালক,টেইলার,দুধ বিক্রেতা ও মুচিরাও করেছে গাড়িবাড়ি আর কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে ছোট ছোট জুয়ারিদের পাকরাও করলেও বন্ধ হচ্ছে না অনলাইন জুয়া আর ভিসা প্রতারনা। একই সাথে বেড়েছে ছিচকে চুরি।
স্হানীয়দের অভিযোগ সৈয়দপুরের তৎপরতা নেই বলে পুলিশ পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যাক্তির সাথে জুয়ারি আর ভিসা প্রতারকদের সক্ষতা থাকায় বন্ধ হচ্ছে না অনলাইন জুয়া আর ভিসা প্রতারনা। পুলিশ প্রসাশন কঠোর হলেই এসব অবৈধ সব কর্মকাণ্ড একমাসেই চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব।
এছাড়া , শহরের হাতিখানা কবরস্থান, রেললাইন এলাকা, রেলস্টেশন, রসুলপুর, কয়ানিজপাড়া, ইসলামবাগ শেরু হোটেল, গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর, নিমবাগান, পুরাতন বাবুপাড়া, অফিসার্স কলোনি ডাকবাংলো-সংলগ্ন, সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ বাস টার্মিনাল, আদানী মোড় ও বাংগালীপুর নীজপাড়ায় মাদকসহ উপজেলার প্রায় ৩০ স্থানে মাদকের বেচাকেনা হচ্ছে। এসবের মধ্যে শহরের ঘোরাঘাট, কয়ানিজপাড়া, ইসলামবাগ শেরু হোটেল, নিমবাগান এলাকাটি এখন মাদকপল্লি নামে পরিচিত।
সূত্র জানায়, প্রভাবশালী বেশ কজন অনলাইনে জুয়া আর ভিসা প্রতারনার সাথে জড়িতরা পর্দার আড়ালে থেকে কজন পুলিশ পরিচয় দানকারি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন পরিচয় দানকারিদের সহযোগিতায় উল্লেখিত এলাকায় অনলাইনে জুয়া, ভিসা প্রতারনা ও মাদক ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে।
সুত্রটি আরো জানান, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন অনলাইনে জুয়া ও ভিসা প্রতারকদের সাথে বেশ কিছু আওয়ামী নেতাদের মদদ থাকায় বুক ফুলিয়ে এ ব্যবসা চলতে থাকে। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতন হলে শহর সহ উপজেলার সকল নেতা কর্মী আত্মগোপনে গেলেও জুয়ারি,ভিসা প্রতারক ও মাদক বিক্রেতারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। পুলিশ যদি ঠিকভাবে তৎপর হয়, তাহলে সৈয়দপুর শহর সহ উপজেলায় সাত দিনের মধ্যে অনলাইনে জুয়া ও ভিসা প্রতারনা বন্ধ সহ মাদকমুক্ত করতে পারবেন। কিন্তু পুলিশ প্রসাশনের তৎপরতা না থাকায় বেসামাল হয়ে পড়েছে ওইসব কারবারিরা।
থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারনার মাধ্যমে প্রবাসীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতারক এখন অগনিত। সৈয়দপুর শহর সহ উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন ও খাতামধুপুর ইউনিয়নের অনেক ভ্যানচালক, দুধ বিক্রেতা ও রিক্সা চালকরাও থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারনার মাধ্যমে হয়েছে কোটি পতি। এসবের তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে অনলাইন জুয়ারি ও ভিসা প্রতারকরা একাধিক সাংবাদিককে হুমকি ও দেয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনামলেই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলে আর কখনই অবৈধ ওইসব কারবার বন্ধ সম্ভব নয় বলে জানান অনেকেই।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, তিনি সদ্য এই থানায় যোগদান করেছেন।সৈয়দপুর শহর সহ উপজেলার সকল অপরাধিদের তালিকা করা হচ্ছে, অল্প দিনের মধ্যে সকল অনলাইন জুয়ারি ও ভিসা প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হতে পারে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে জেলার ৬ টি উপজেলাতে সঠিক ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।এরপরও আমরা নিয়িমিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে সৈয়দপুরকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।