Dhaka ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে একেই জলে ১২০ মন মাছ  

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের এক জেলের জালে আটকা পড়েছে ১২০ মণ মাছ।১০ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৯টার দিকে শাহ পরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সাগরে মাছগুলো ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলে এরশাদ উল্লাহ মাঝি।শাহপরীর দ্বীপ ডাংগর পাড়া গ্রামের এই জেলে জানান, সন্ধ্যার সময় নৌকা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যান তিনি। জাল ফেলার এক ঘণ্টা পরে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে জালে। তাই নৌকায় না তুলে জালসহ মাছগুলো সৈকতে নিয়ে আসেন।সৈকতে জাল তোলার পর দেখা যায়, ছোট পোয়া, ফাইস্যা, মলা, ছুরি, বাটাসহ ছোট প্রজাতির প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। যেগুলোর ওজন প্রায় ১২০মণ।
তিনি আরও জানান, সৈকতেই প্রতি মণ ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে তিন লাখ টাকায় পাইকারি ক্রেতাদের মাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। পাইকারি ক্রেতারা কিছু মাছ বাজারে তুললেও বাকিটুকু পাঠিয়ে দিয়েছেন শুটকিমহালে।টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ ও ২২ দিন মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ কারণে সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন বেড়েছে অনেক গুণ। মাছের পরিমাণ ও আকৃতিও অনেক বেড়েছে। এর সুফল হিসেবে শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের জেলেদের জালে বড় ও ছোট প্রজাতির প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে।এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান ,এসব মাছ বিক্রির টাকায় জেলেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। দূর হচ্ছে জেলেপল্লীর অভাব-অনটন। অবশ্যই এটা আনন্দের সংবাদ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে একেই জলে ১২০ মন মাছ  

Update Time : ১২:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের এক জেলের জালে আটকা পড়েছে ১২০ মণ মাছ।১০ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৯টার দিকে শাহ পরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সাগরে মাছগুলো ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলে এরশাদ উল্লাহ মাঝি।শাহপরীর দ্বীপ ডাংগর পাড়া গ্রামের এই জেলে জানান, সন্ধ্যার সময় নৌকা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে যান তিনি। জাল ফেলার এক ঘণ্টা পরে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে জালে। তাই নৌকায় না তুলে জালসহ মাছগুলো সৈকতে নিয়ে আসেন।সৈকতে জাল তোলার পর দেখা যায়, ছোট পোয়া, ফাইস্যা, মলা, ছুরি, বাটাসহ ছোট প্রজাতির প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। যেগুলোর ওজন প্রায় ১২০মণ।
তিনি আরও জানান, সৈকতেই প্রতি মণ ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে তিন লাখ টাকায় পাইকারি ক্রেতাদের মাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। পাইকারি ক্রেতারা কিছু মাছ বাজারে তুললেও বাকিটুকু পাঠিয়ে দিয়েছেন শুটকিমহালে।টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ ও ২২ দিন মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ কারণে সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন বেড়েছে অনেক গুণ। মাছের পরিমাণ ও আকৃতিও অনেক বেড়েছে। এর সুফল হিসেবে শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের জেলেদের জালে বড় ও ছোট প্রজাতির প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে।এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান ,এসব মাছ বিক্রির টাকায় জেলেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। দূর হচ্ছে জেলেপল্লীর অভাব-অনটন। অবশ্যই এটা আনন্দের সংবাদ।