Dhaka ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩নং আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ওই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার (সচিব) অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পলি কর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারী আকচা ইউপি সচিব মোছা. রিজওয়ানা মুস্তারী বর্না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনের একই ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান এবং জোরপূর্বক চেকবইতে স্বাক্ষর করার অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।

একই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন ৩নং আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে একই আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আকচা ইউপি সচিব মোছা. রিজওয়ানা মুস্তারী বর্না বলেন, চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন চলতি বছরের গত ৬ এপ্রিল অফিস বন্ধ থাকার পরও আমাকে পরিষদে ডেকে আনেন এবং চেকবইতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় তিনি আমাকে অনেক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করলে আমি পরদিন ৭ এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। তিনি অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত চেয়ারম্যানের অপরাধ প্রমাণিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লেগেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

Update Time : ১২:৩৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩নং আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ওই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার (সচিব) অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পলি কর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারী আকচা ইউপি সচিব মোছা. রিজওয়ানা মুস্তারী বর্না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনের একই ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান এবং জোরপূর্বক চেকবইতে স্বাক্ষর করার অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।

একই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন ৩নং আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে একই আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আকচা ইউপি সচিব মোছা. রিজওয়ানা মুস্তারী বর্না বলেন, চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন চলতি বছরের গত ৬ এপ্রিল অফিস বন্ধ থাকার পরও আমাকে পরিষদে ডেকে আনেন এবং চেকবইতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় তিনি আমাকে অনেক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করলে আমি পরদিন ৭ এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। তিনি অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত চেয়ারম্যানের অপরাধ প্রমাণিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লেগেছে।