Dhaka ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন রোহিঙ্গা সহ ৬ জেলে

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরতে গেলে ৪ রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। আটকের ২০ দিন পর প্রত্যেকে ২২ হাজার টাকা করে আরাকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।ফেরত আসা জেলেরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোচনী দুদু মিয়া ও তার ছেলে আব্বাস মিয়া। বাকি রোহিঙ্গাদের নাম পাওয়া যায়নি। তারা জাদিমুড়া রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বলে জানা গেছে। গত শনিবার বিকেলের দিকে টেকনাফের হ্নীলা মৌচনী নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে তারা বাড়িতে ফেরত আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলে দুদু মিয়ার ভাতিজা মোঃ রাসেল মিয়া।তিনি জানান , গত ২৩ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা মোচনী পয়েন্টের নাফনদীতে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই মাছ ধরতে যান। সেখানে জাদিমুড়া ক্যাম্পের আরও ৪ রোহিঙ্গা মাছ ধরছিলেন। পরে আরাকান আর্মির সদস্যরা ৬ জনকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়।এক পর্যায়ে রাখাইন গ্রামের রোহিঙ্গাদের এক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথাবার্তা বলে মুক্তিপণ হিসেবে জনপ্রতি ২২ হাজার টাকা করে দিলে তারা মুক্তি পান। গত শনিবার বিকেলে তারা এপারে বাড়িতে ফিরে আসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ

আরকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন রোহিঙ্গা সহ ৬ জেলে

Update Time : ০২:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরতে গেলে ৪ রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। আটকের ২০ দিন পর প্রত্যেকে ২২ হাজার টাকা করে আরাকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।ফেরত আসা জেলেরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোচনী দুদু মিয়া ও তার ছেলে আব্বাস মিয়া। বাকি রোহিঙ্গাদের নাম পাওয়া যায়নি। তারা জাদিমুড়া রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বলে জানা গেছে। গত শনিবার বিকেলের দিকে টেকনাফের হ্নীলা মৌচনী নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে তারা বাড়িতে ফেরত আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলে দুদু মিয়ার ভাতিজা মোঃ রাসেল মিয়া।তিনি জানান , গত ২৩ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা মোচনী পয়েন্টের নাফনদীতে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই মাছ ধরতে যান। সেখানে জাদিমুড়া ক্যাম্পের আরও ৪ রোহিঙ্গা মাছ ধরছিলেন। পরে আরাকান আর্মির সদস্যরা ৬ জনকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়।এক পর্যায়ে রাখাইন গ্রামের রোহিঙ্গাদের এক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথাবার্তা বলে মুক্তিপণ হিসেবে জনপ্রতি ২২ হাজার টাকা করে দিলে তারা মুক্তি পান। গত শনিবার বিকেলে তারা এপারে বাড়িতে ফিরে আসেন।