Dhaka ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরের উৎপাদিত কপি যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

সৈয়দপুরের উৎপাদিত শীত মৌসুমের ফুল কপি ও বাঁধা কপি ট্রাক ভরে যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।  প্রতি পিস কপি ২০ টাকায় ক্রয় করে ট্রাক ভর্তি করছেন পাইকাররা। আর এভাবে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন থেকে মাঠের ফুল কপি ও পাতা কপি ট্রাকে তোলা হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর ভোরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি, ঢেলাপীর ও শ্বাসকান্দর এলাকায় পাইকাররা ট্রাক দাঁড় করিয়ে ফুল ও বাঁধা কপি কিনছেন। কৃষকরা মাঠ থেকে এসব কপি সংগ্রহ করে প্রতিপিস ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। আড়তের খরচ নেই বলে কৃষকরা বাইরের পাইকারদের কাছে এসব সবজি বিক্রি করার জন্য আগ্রহ অনেকটাই বেশি  ।

সোনাখুলি গ্রামের কপি চাষি মফিজুর রহমান জানান, বাড়ির পার্শেই প্রায় ২ বিঘা জমিতে ফুল কপি ও পাতা কপি চাষাবাদ করেছি। নিজির পরিচর্যায় ২/৩ মাস পর বাড়ির বউ-ঝি মিলে কপি তুলে পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছি। এতে লাভ একটু কম হলেও ঝামেলা নেই বললেই চলে।

ট্রাক নিয়ে আসা পাইকার সোলেমান আলী জানান, সৈয়দপুর থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় যেতে প্রায় ১৬/১৭ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়। একটি ট্রাকে সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ৬ হাজার কপি ধরে।

এতে লাভ কত হয় তা জানাতে চাইলে তিনি বলেন, লাভ না হলে ঢাকা থেকে কেউ সৈয়দপুরে কপি কিনতে আশে। তিনি বলেন, প্রতিপিস কপি কেনা হচ্ছে ২০ টাকা দরে। আর একেকটি কপি ঢাকায় বিক্রি করা হবে ৬০/৬৫ টাকা করে। এতে লাভ তো হবেই।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, এবারের শীত মৌসুমে কৃষকরা সর্বমোট ২৪০ হেক্টর জমিতে ফুল কপি ও পাতা কপি চাষাবাদ করেছেন। এর মধ্যে সৈয়দপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি আবাদ হয় বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে।  এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এই ইউনিয়ন থেকে কৃষকরা ধনেপাতাও পাঠাচ্ছেন ঢাকা সহ অনেক জেলা উপজেলায়। এসব সরাসরি মাঠ থেকে কৃষকরা পাঠাচ্ছেন বলে আড়তের খরচ নেই এবং প্রতারিত হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে কৃষকরা ফুল কপি ও পাতা কপি চাষাবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন। কৃষিবিদ এর পরামর্শ মতে কৃষকরা চাষাবাদ করলে কোন সবজিতেই লস হবে না বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সৈয়দপুরের উৎপাদিত কপি যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

Update Time : ১২:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সৈয়দপুরের উৎপাদিত শীত মৌসুমের ফুল কপি ও বাঁধা কপি ট্রাক ভরে যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।  প্রতি পিস কপি ২০ টাকায় ক্রয় করে ট্রাক ভর্তি করছেন পাইকাররা। আর এভাবে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন থেকে মাঠের ফুল কপি ও পাতা কপি ট্রাকে তোলা হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর ভোরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি, ঢেলাপীর ও শ্বাসকান্দর এলাকায় পাইকাররা ট্রাক দাঁড় করিয়ে ফুল ও বাঁধা কপি কিনছেন। কৃষকরা মাঠ থেকে এসব কপি সংগ্রহ করে প্রতিপিস ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। আড়তের খরচ নেই বলে কৃষকরা বাইরের পাইকারদের কাছে এসব সবজি বিক্রি করার জন্য আগ্রহ অনেকটাই বেশি  ।

সোনাখুলি গ্রামের কপি চাষি মফিজুর রহমান জানান, বাড়ির পার্শেই প্রায় ২ বিঘা জমিতে ফুল কপি ও পাতা কপি চাষাবাদ করেছি। নিজির পরিচর্যায় ২/৩ মাস পর বাড়ির বউ-ঝি মিলে কপি তুলে পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছি। এতে লাভ একটু কম হলেও ঝামেলা নেই বললেই চলে।

ট্রাক নিয়ে আসা পাইকার সোলেমান আলী জানান, সৈয়দপুর থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় যেতে প্রায় ১৬/১৭ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়। একটি ট্রাকে সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ৬ হাজার কপি ধরে।

এতে লাভ কত হয় তা জানাতে চাইলে তিনি বলেন, লাভ না হলে ঢাকা থেকে কেউ সৈয়দপুরে কপি কিনতে আশে। তিনি বলেন, প্রতিপিস কপি কেনা হচ্ছে ২০ টাকা দরে। আর একেকটি কপি ঢাকায় বিক্রি করা হবে ৬০/৬৫ টাকা করে। এতে লাভ তো হবেই।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, এবারের শীত মৌসুমে কৃষকরা সর্বমোট ২৪০ হেক্টর জমিতে ফুল কপি ও পাতা কপি চাষাবাদ করেছেন। এর মধ্যে সৈয়দপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি আবাদ হয় বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে।  এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এই ইউনিয়ন থেকে কৃষকরা ধনেপাতাও পাঠাচ্ছেন ঢাকা সহ অনেক জেলা উপজেলায়। এসব সরাসরি মাঠ থেকে কৃষকরা পাঠাচ্ছেন বলে আড়তের খরচ নেই এবং প্রতারিত হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে কৃষকরা ফুল কপি ও পাতা কপি চাষাবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন। কৃষিবিদ এর পরামর্শ মতে কৃষকরা চাষাবাদ করলে কোন সবজিতেই লস হবে না বলে জানান তিনি।