মেহেরপুরের গাংনীর চরগোয়ালগ্রামে শফিরুল ইসলাম(৪৫) নামের একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত শফিরুলের পরিবারের দাবী, প্রতিবেশি ইসরাইল বিশ^াসের ছেলে রিমনের দেয়া বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো কোমলপানীয় স্পীড পানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। সে ওই গ্রামের মৃত খেদ আলীর ছেলে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করেছে।
শফিরুলের স্ত্রী রাশিদা খাতুন জানান, ২০ দিন আগে রাতে মাঠে ঘাস পাহারা করতে শাফিরুলকে নিয়ে যান প্রতিবেশি রিমন। সে সময় রিমনের দেয়া কোমল পানীয় স্পীড পান করানোর পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে শফিরুল। ওই রাতে পরিবারের কেহই বাড়িতে ছিল না। পরদিন অসুস্থ শফিরুলকে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুষ্টিয়া মেডিকেলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শফিরুলের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। সেখানে ১০ দিন চিকিৎসা দেয়ার পর অর্থনৈতিক সংকটের কারনে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। গত শুক্রবার শফিরুলের অবস্থা আরো গুরুতর হওয়ায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিসাধিন অবস্থায় আজ রোব্বার ভোর রাতে তার মৃত্যু ঘটে। তবে কি কারনে রিমন তাকে বিষাক্ত কোমল পানীয় পান করিয়েছে তা জানাতে পারেনি তার পরিবার।
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, শাফিরুল ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশিদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। সেই সাথে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।