Dhaka ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিডিআর হত্যা মামলা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার

সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আজ রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চকে এ তথ্য জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, আপিল বিভাগে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড ঘিরে হত্যা মামলার (ডেথ রেফারেন্স) শুনানি চলমান রয়েছে। অপর মামলাটি ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই রিট আবেদনকারীর চাহিদা অনুসারে প্রস্তাবিত কমিটি গঠন আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আপাতত কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না।

নিষ্ঠুর ওই কর্মকাণ্ড ঘিরে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের প্রেক্ষাপটে এমন তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন। এ সময় রিট আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সই করা এ-সংক্রান্ত স্মারকে বলা হয়, বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আদালতে ওই মামলা দুটি বিচারাধীন থাকায় এ পর্যায়ে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির ‘গণহত্যা’ তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত অক্টোবরে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার।

পরবর্তী সময়ে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠন করতে এবং ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণায় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে গত ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) বরাবর আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা।

এরপর রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আবেদনটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২ ডিসেম্বর রিটটি কার্যতালিকায় ওঠে। জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে বলে সেদিন হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বিডিআর হত্যা মামলা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার

Update Time : ০২:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আজ রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চকে এ তথ্য জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, আপিল বিভাগে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড ঘিরে হত্যা মামলার (ডেথ রেফারেন্স) শুনানি চলমান রয়েছে। অপর মামলাটি ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই রিট আবেদনকারীর চাহিদা অনুসারে প্রস্তাবিত কমিটি গঠন আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আপাতত কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না।

নিষ্ঠুর ওই কর্মকাণ্ড ঘিরে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের প্রেক্ষাপটে এমন তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন। এ সময় রিট আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সই করা এ-সংক্রান্ত স্মারকে বলা হয়, বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আদালতে ওই মামলা দুটি বিচারাধীন থাকায় এ পর্যায়ে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির ‘গণহত্যা’ তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত অক্টোবরে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার।

পরবর্তী সময়ে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠন করতে এবং ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণায় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে গত ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) বরাবর আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা।

এরপর রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আবেদনটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২ ডিসেম্বর রিটটি কার্যতালিকায় ওঠে। জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে বলে সেদিন হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।