র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সব সময় অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ধর্মীয়, জাতীয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ও দিবসে নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকে। র্যাব দেশের যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে জনসাধারণের পাশে দাড়িয়েছে।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবভন, দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন হবে। সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে র্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে এর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যে জারিকৃত সকল প্রকার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব ফোর্সেস কাজ করছে। শাপাশি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যাব কর্তৃক নিম্নবর্ণিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজয় দিবসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ১৩ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকার উল্লেখযোগ্য ভেন্যুসমূহ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি এবং নিরাপত্তা টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যাটালিয়নসমূহের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সমূহের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহের আশে-পাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
র্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগস্কোয়াড ও র্যাব বোম্ব স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গভবন ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনসহ সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে র্যাবের দৃশ্যমান উপস্থিতি ও টহল অব্যাহত রাখতে হবে।