Dhaka ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শার্শা সীমান্ত থেকে পৃথক স্থান থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে সাবু হোসেন(৩৫) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৬) নামে পৃথক ২ স্থান থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার পাঁচ ভুলাট ও পুটখালী সীমান্তের ইছামতী নদীর কাছ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে শার্শা থানা ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। নিহত, সাবু হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দিঘীর পাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে ও জাহাঙ্গীর হোসেন একই থানার কাগজপুর গ্রামের মৃত, ইউনুচ আলী মোড়লের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সকাল ০৭.৪০ মিনিটে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১বিজিবি) এর পাঁচ ভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২আর পিলার হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত শূন্য রেখা হতে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে একটি লাশ উলঙ্গ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে শার্শা থানার এস,আই আওয়াল হোসেন ও এস, আই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপস্থিত হয়ে বিজিবির উপস্থিতিতে লাশ নদী তীর থেকে উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, সে গত রাতে চোরাচালানের উদেশ্য ভারত সীমান্তে গমন করেন এবং ধারণা করা হচ্ছে যে, সে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক আটক হয়ে মারধরের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসার সময়ে মৃত্যু বরণ করে।

অপার দিকে,১৭ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেঢ় টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দীঘীর পাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে সাবু হোসেন উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নে ইছামতি নদী সাঁতার দিয়ে ভারতীয় গরু পারা পারের জন্য ইন্ডিয়ান সীমান্তে গেলে বিএসএফ এর হাতে আটক হয়। বিএসএফ ভিকটিমকে প্রচুর মারধর করে বস্ত্র বিহীন অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে চলে যায়। ভিকটিম নিজে আহত অবস্থায় নাসিরের আম বাগানে আসলে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে ফোন করে খবর দিলে তার মা এবং বউ গিয়ে তাকে ভোর ৪টার সময় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সাবু পানি খেতে চাইলে পানি খাওয়ার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার(নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কি ভাবে তাদের মৃত্যু হলো আমরা তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবো বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ

শার্শা সীমান্ত থেকে পৃথক স্থান থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ০২:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে সাবু হোসেন(৩৫) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৬) নামে পৃথক ২ স্থান থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার পাঁচ ভুলাট ও পুটখালী সীমান্তের ইছামতী নদীর কাছ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে শার্শা থানা ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। নিহত, সাবু হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দিঘীর পাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে ও জাহাঙ্গীর হোসেন একই থানার কাগজপুর গ্রামের মৃত, ইউনুচ আলী মোড়লের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সকাল ০৭.৪০ মিনিটে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১বিজিবি) এর পাঁচ ভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২আর পিলার হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত শূন্য রেখা হতে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে একটি লাশ উলঙ্গ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে শার্শা থানার এস,আই আওয়াল হোসেন ও এস, আই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপস্থিত হয়ে বিজিবির উপস্থিতিতে লাশ নদী তীর থেকে উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, সে গত রাতে চোরাচালানের উদেশ্য ভারত সীমান্তে গমন করেন এবং ধারণা করা হচ্ছে যে, সে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক আটক হয়ে মারধরের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসার সময়ে মৃত্যু বরণ করে।

অপার দিকে,১৭ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেঢ় টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দীঘীর পাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে সাবু হোসেন উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নে ইছামতি নদী সাঁতার দিয়ে ভারতীয় গরু পারা পারের জন্য ইন্ডিয়ান সীমান্তে গেলে বিএসএফ এর হাতে আটক হয়। বিএসএফ ভিকটিমকে প্রচুর মারধর করে বস্ত্র বিহীন অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে চলে যায়। ভিকটিম নিজে আহত অবস্থায় নাসিরের আম বাগানে আসলে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে ফোন করে খবর দিলে তার মা এবং বউ গিয়ে তাকে ভোর ৪টার সময় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সাবু পানি খেতে চাইলে পানি খাওয়ার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার(নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কি ভাবে তাদের মৃত্যু হলো আমরা তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবো বলে তিনি জানান।