মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের অহংকার’ শ্লোগানে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব’।গত মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী ও ইনস্টিটিউটের শহীদ দৌলত ময়দানে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উদযাপন পরিষদ- কক্সবাজার’ এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সম্মুখ মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ ও মনসুর আলম।উদ্বোধন ঘোষণার পরপরই পরিবেশিত হয় উদ্বোধনী দলীয় সঙ্গীত। এর পরে বের হয় বিজয় রেলী । রেলীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ দৌলত ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।উদ্বোধনী বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি জাতির জীবনে একবারই আসে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালী জাতির অস্থিত্বের ঠিকানা। মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনাকে সমুন্নত রেখে বৈষম্যহীন আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিজয় উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুবিমল পাল পান্না।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ও সদস্য সচিব নাছির উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক উৎপল বড়ুয়া, দীপক শর্মা দিপু, এম জসিম উদ্দিন, মনির মোবারক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।এর আগে অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। এতে শতাধিক শিশু-কিশোর বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণ করে।আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিজয় উৎসবে উদীচী, খেলাঘর আসর ও সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্টিসহ ৩০ টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। প্রতিদিন বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিজয়ের স্মৃতিচারণমূলক কথামালা, গান, নাটক ও নৃত্য সহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।উৎসবস্থলে বসেছে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ২০ টি স্টল। এসব স্টলে রয়েছে কুটির ও হস্তশিল্পের পণ্য, পিঠাপুলি সহ নানা পসরা। এছাড়া উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ নানা চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে সামাজিক সংগঠন তারুণ্যের অভিযাত্রিক ও ইউনিয়ন হাসপাতাল।এদিকে এবারে বিজয় উৎসবের বর্ণাঢ্য আয়োজন উপভোগ করতে অংশগ্রহণ করেছে শত শত দর্শনার্থী।