সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, গত জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় বলে।
১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ছোঁড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। আন্দোলকারীদের দমাতে মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। ঠিক তখন হুটহাট করেই চলে যেতো ইন্টারনেট। এ নিয়ে একেক সময় একেক কথা বলতেন তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। কখনো বলা হয়, সুইচে চাপ লেগে বন্ধ হয়ে গেছে, কখনো বলা হতো, খাজা টাওয়ারে আগুনে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলায় পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানেই পলক স্বীকার করেন, শেখ হাসিনা স্বয়ং ইন্টারনেট বন্ধ করতে বলেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথনও হাতে এসেছে তদন্ত সংস্থার। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ৮ জনকে। এরমধ্যে মামুনসহ তিনজনকে একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। এদিকে, ট্রাইব্যুনালে যারা জুলাই- আগস্ট গণহত্যা নিয়ে সাক্ষ্য দেবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। অন্যথায় ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নেয়া হবে আইনি পদক্ষেপ।